দোহার-নবাবগঞ্জে গরীবের ইফতার

667

আসিফ শেখ, নিউজ৩৯ ♦ “নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে তিন বেলা খাবার কেনাই কষ্টকর! ভালো ইফতারি কেনার সাধ্য তো আমাদের নেই। ফুটপাত থেকে যা কিনতে পারি, তাতেই আমাদের আনন্দ!” কি দিয়ে ইফতার করেন প্রশ্ন করতেই এভাবে আক্ষেপ করেন ভ্যান চালক হযরত আলী।

হযরত আলীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী তে বসবাস করছেন। অসংখ্য শ্রমজীবি মানুষ প্রতিদিন ইফতার করেন দোহার-নবাবগঞ্জে উপজেলার বিভিন্ন যায়গায়। সামান্য মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু আর পানিই তাদের ভরসা।

দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন শ্রমজীবি মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কষ্ট হলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা ব্যয় করেন ইফতার কিনতে। তবে যেদিন আয় ভালো হয়, সেদিন ইফতারে খাবারের পদের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। অবশ্য সেটা সব সময় নয়, কালে-ভদ্রে। তা না হলে রোজ রোজ একই খাবার দিয়ে ইফতার করেন এসব শ্রমজীবি মানুষ।

তারা ইফতার সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে প্রতিদিন আয়ের ওপর নির্ভর করেন। তাদের একমাত্র ভরসা ফুটপাতের ইফতারের দোকানগুলো। বেশির ভাগ সময় মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু দিয়েই ইফতার করেন তারা। শরবত বা খেজুর দিয়ে ইফতার করা তাদের পক্ষে প্রায় দিনই সম্ভব হয় না। অনেকে আবার ইফতারি কেনার সার্মথ্য না থাকায় ভিড় জমান বিভিন্ন মসজিদে।

অন্য খবর  দোহার নবাবগঞ্জে বাড়ছে হাতুড়ে ও হাটুরে চিকিৎসকদের সংখ্যা

দোহার-নবাবগঞ্জে উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ইফতার সামগ্রীর মূল্য এবার অনেক চড়া। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ইফতারের বাজারেও। প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভর করে যাদের জীবিকা র্নিবাহ করতে হয় বা হচ্ছে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রী কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফুটপাতের ইফতারের দোকান থেকে ২০-৩০ টাকার ইফতার কিনেই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা বারুয়াখালী বাজারে ফুটপাত দোকানে ইফতার বিক্রি করে আশেদ আলী, তিনি জানান, “আমরা সস্তায় ইফতার বিক্রি করি। আইটেমের মধ্যে রয়েছে, ছোলা, আলুর চপ, বেগুনি ও মুড়ি। কম আয়ের মানুষ আমাদের কাছ থেকে ইফতার সামগ্রী কিনেন। কেউ কিনেন ৩০ টাকার আবার কেউ ৪০ টাকার।

রিক্সা চালক আবজাল মিয়া জানান, “প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ঠিক মতো তিন বেলা খাবারই জোটাতে পারি না। আবার ইফতার। তারপারেও পানি বা মুড়ি দিয়ে কোন রকমে ইফতার করতে হয়। আমরা অসহায়। মনে নানা স্বপ্ন উকি দিলেও অর্থাভাবে অনেক সাধই পূরণ করা সম্ভব হয় না।”

আপনার মতামত দিন