কিস্তির টাকার জন্যই গুম করা হয় দুই এনজিও কর্মকর্তাকে

787
কিস্তির টাকার জন্যই গুম করা হয় দুই এনজিও কর্মকর্তাকে

এসডিসি এনজিও’র দুই কর্মকর্তাকে দিনের উত্তোলিত কিস্তির টাকা ছিনিয়ে নিয়ে খুন করে ৬ ফুট মাটির নিচে গুম করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হুমায়ূন কবির। সোমবার রাত ৮টার দিকে চুড়াইন ইউনিয়নের ইউসূফ আলীর মুরগীর ফার্ম সংলগ্ন ইছামতি নদীর পাড়ের দুটি পৃথকস্থান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হওয়ার পর উপস্থিত সংবাদকর্মীদের তিনি এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ূন কবির জানান, ইউসূফ আলীর স্ত্রী নিলুফা এনজিও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) থেকে কয়েক দফা ঋণ গ্রহন করেছিল। নিয়মিত কিস্তিও পরিশোধ করছিল। দিনের কিস্তির উত্তোলিত টাকার ছিনিয়ে নিতে গত বছর ৫ ডিসেম্বর কিস্তির টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়া হয় এনজিও কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলামকে (২৯)। পরে পিছন দিক থেকে তার মাথায় আঘাত করে খুন করে লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়। এ নিখোঁজের ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা হয়।

পরবর্তীতে এ বছর ১৬ মার্চ একই এনজিও, একই এলাকায় কাজ করা কর্মকর্তা অভিজিৎ মালো (২৮) নামে আরেকজন কর্মকর্তাকে একই ভাবে খুন করে লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়। এঘটনার কয়েকদিন পর নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়।

অন্য খবর  যন্ত্রাইলে শান্তিপূর্ণ ভাবে উপ- নির্বাচন সম্পূর্ণ; নতুন মেম্বার নাসির মোল্লা

একই এনজিও’র দুই কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিনজনকে পৃথকস্থান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাতে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার রাতে এনজিও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) নিখোঁজ দুই কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ও অভিজিৎ মালোর গুম করা লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের বিশেষ দল। এনজিও কর্মকর্তাদের খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগে ইউসূফ আলী (৩২), জনি (২৫), মনির হোসেন (৩০) নামে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত এনজিও কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ফরিদপুর জেলার গৌরীপুর এলাকার গোলাম সারোয়ারের ছেলে, অভিজিৎ মালো একই জেলার নগরকান্দা উপজেলার আজিজা গ্রামের রণজিৎ মালোর ছেলে। তারা উভয়ে এনজিও সংস্থা এসডিসি’র চুড়াইন তালতলা শাখার মাঠ কর্মকর্তা ছিলেন।

গ্রেফতারকৃত জনি উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মুকলেছুর রহমানের ছেলে, ইউসূফ আলী একই এলাকার আনিসের ছেলে, মনির হোসেন একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে।

এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, মঙ্গলবার সকালে দুই এনজিও কর্মকর্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জনি, ইউসূফ আলী, মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আপনার মতামত দিন