ঢাকার দোহার মঙ্গলবার ২৫শে জানুয়ারি সকাল ১১টায় উপজেলায় মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলার চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে ৪৬.০০.০০০০.০৪৬.১৬.০১০.১৯.-১৭৬ স্মারকমূলে ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে একখানা পত্র পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সেই সাথে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল RFQM এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন এবং এর ব্যয় উপজেলা রাজস্ব তহবিল হতে নির্বাহ করা হবে।
এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ADB ও উন্নয়ন তহবিল হতে বাস্তবায়িত প্রকল্প হতে জলাবদ্ধ দূরীকর ও সাতভিটা, মইতপাড়া রুইহা গ্রামের ইরিধান চকের পানি নিরূপনের জন্য সাতভিটা মালেকের বাড়ী নিকট হতে রুই জলিল মোল্লার বাড়ীর নিকট পর্যন্ত RCC ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনটি হতে পূর্ণাঙ সুফল পাওয়ার জন্য এর দৈর্ঘ্য ৪৫০ মিটার এর স্থানে ৪৯০ মিটার করতে হবে। উল্লেখ্য যে চুক্তিমূল্য অপরিবর্তিত থাকবে এর জন্য অনুমোদিত প্রাক্কলন Recast করা হবে।
বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের সভা অনলাইন প্লাটর্ফমে সম্পাদিত হচ্ছে অর্থাৎ জুম এবং ভিডিও কনফারেন্সিং। যা পরিচালনায় ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্কীন, সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারনেট মডেম প্রয়োজন; যা আমাদের উপজেলা পরিষদে নেই। যে কোন ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান হলেই অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে এ ধরনের সামগ্রী অন্যত্র হতে সরবরাহ করতে হয়। প্রায় সকল উপজেলাতেই এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এমতাবস্থায়, বিধি মোতাবেক উপজেলা রাজস্ব তহবিল হতে এ সামগ্রীগুলো ক্রয় করার ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ১০০ (একশ) শয্যায় উন্নীত হবে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বহি:বিভাগের টিকেট কাউন্টার বাহিরে স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত স্থাপনা (টিকেট কাউন্টার) সংস্কার এবং কাউন্টার থেকে বহি:বিভাগ পর্যন্ত রেইনশেড নির্মাণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি আরও জানান, এম আর ক্যাম্পেইন ৩১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত চলমান থাকায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
মৎস কর্মকর্তা কর্তৃক একটি বিল দাখিল করা হয়েছে। জাতীয় কর্মসূচী বাস্তাবায়নের ফলে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার দাখিলকৃত খরচের টাকা উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধন্তুক্রমে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে পরিশোধ করা যেতে পারে বলে তিনি সভায় প্রস্তাব পেশ করেন।
দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ নাইম উক্ত অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকার রাজস্ব শাখার ১০ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি: তারিখের০৫.৪১.৩০০০.০০৯.৯৯.০৩৯.১৯.৭৪৮ নং স্মারক মূলে মহামারী করোনা ভাইরাস ও ভয়াবহ বন্যায় বাংলা ১৪২৬ ও ১৪২৭ বঙ্গাব্দের সর্বমােট ৬৮ (আটঘটি) দিন যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১। চরভদ্রাসন-মৈনট, আন্ত:জেলা ফেরীঘাট- ১,২০,২০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা যাহার ইজারাদার জনাব নুরুল ইসলাম পাটনী। এবং ২। পিয়াজখালী বাঁশতলা-নারিশা জোয়ার সদরপুর ফরিদপুরে ২৯,৫০,০০০/- (উনত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা যাহার ইজারাদার জনাব মো: রাহাতুজ্জামান। তাহারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মর্মে পত্রে পাওয়া যায়। বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, মা ইলিশ কার্যক্রম রক্ষার্থে ২২ (বাইশ) দিন ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা | হয় তাতে সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও অতিরিক্ত =৭৫,০০০/- (পঁচাত্তর হাজার) টাকা বেশি খরচ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও জানান যে, ২৪ ঘন্টাই সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয় তাই তার সান্ধ্যকালীন অফিসটি কাজের উপযোগী থাকা অত্যন্ত জরুরী। সান্ধ্যকালীন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে অফিস মেরামত সংস্কার করা অতীব জরুরী। এ বিষয়ে বিগত ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ স্মারকনং-৪৬.০০,০০০০,০৪৬.২৬.০৬৩,১৪-৯০৪; মুলে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে একটি পত্র পাওয়া গেছে। সে মোতাবেক প্রাক্কলিত অর্থ উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিল হতে বায়ের সদয় প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা। বরাবর পত্র পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ জানান, প্রায় ৩৪ কি:মি পদ্মা দোহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। | মাননীয় সংসদ হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ দিয়ে দোহারকে নদী ভাঙার হাত থেকে রক্ষার্থে চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু নীতিমালার মধ্য দিয়ে ড্রেজার চলতে পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার অফিসারগন, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।