তরুনদের ভাবনাঃ সামনে আসছে কঠিন সময়

141

covid-19 কে পৃথিবীর ইতিহাসে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী হিসেবে দেখছি। পৃথিবীর ইতিহাসে ছাপ রেখে যাওয়া পূর্বের ভাইরাস গুলো কোন দেশ বা জাতিকে কেন্দ্র করে ছিল। কিন্তু সেইসব দেশ বা জাতি covid-19 এর মতো ভয়াবহতার শিকার হয় নি। তবে এমনো হয়েছে নানা যুগের নানা পরিস্থিতির বিবর্তনে অনেক জাতিই বিভিন্ন মহামারী অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু এই covid-19 বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তাই হয়তো বিশ্ব ধ্বংস হবে না, তবে এমন ভাবেই পঙ্গু হবে যা থেকে সুস্থ হতে বেশ বেগ পেতে হবে। আর সচেতনতার অভাব থাকলে বিশ্বের সেই পঙ্গু রূপ কল্পনার বাহিরে চলে যেতে পারে। covid-19 এর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে শঙ্কা ছাড়া আর কিছুই মনে আসছে না। কারণ আগেই যদি বাংলাদেশের কথা বলি অধিকাংশ মানুষ বুঝতেই চাচ্ছে না covid-19 কতটা মারাত্মক ভাইরাস। অনেকে মজাও নিচ্ছে এই বিষয় নিয়ে। অধিকাংশই অসচেতনভাবে স্বাভাবিক চলাচল করছে কোন নিয়মকানুন ছাড়া। সতর্কতার ছিটে ফোঁটা নেই অনেকের মধ্যেই। যা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া covid-19 গোটা বিশ্বেই মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় নানাদিক থেকেই পরিস্থিতি হুমকির মুখে পরছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও বিশ্বকে covid-19 এর প্রকোপে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। covid-19 আমাদের পড়াশোনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। কারণ প্রায় সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এই ভাইরাসের জন্য দেওয়া লকডাউনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই পড়ার মনোযোগ থেকে দূরে সরে গেছে। এতে করে নিয়মিত পড়ার রুটিনে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে, দেখা দিচ্ছে পড়াশোনার প্রতি একপ্রকার অনিহা। এইভাবেই আরও বেশ কিছুদিন চলতে থাকার পর যদি পড়ালেখার কার্যক্রম শুরুও হয় এই বিশাল ব্যাবধানকে আগের পর্যায়ে আনতে হয়তো নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। covid-19 এর ভয়াবহতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দ্রুত চালু করার বিষয়টিও সঠিক বলে মনে করছি না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন এক জায়গা যেখানে সচেতন হয়ে, সামাজিক দুরুত্বে থাকা সম্ভব নয়। তবে পড়াশোনা বহাল রাখতে অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনিহা সেই ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করছে। দোহার – নবাবগঞ্জে covid-19 এর ভবিষ্যৎ ফলাফল সত্যিই খুব ভয়ানক চিত্রই চোখের সামনে তুলে ধরছে। লকডাউনের প্রথম দিকে দোহার- নবাবগঞ্জ ফাঁকা থাকলেও এখন দেখে মনেই হবে না এক মহামারীর কবলে আমরা আছি। ঈদের সময়েই শুধু নয় প্রতিদিন-ই উপচে পরা ভীড়। সেই আগের মতোই। দিন দিন covid-19 এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ মানুষেরই কোন মাথা ব্যাথা নেই। এমন কি যারা পজিটিভ তাদের মধ্যেও বলতে শুনেছি কোন সিমটম নেই ডাক্তার টাকা খাওয়ার জন্য পজিটিভ বলেছে। এমনকি বেশ কিছু দোকানদার আক্রান্ত হয়ে লকডাউন করে দিয়েছে দোকান এরপরেও অন্য দোকানদারকে বলতে শুনেছি, কোথায়?? এমন হলে শুনতাম না? এতো আক্রান্ত হইছে বলে তারা কোথায়? দেখলাম না তো কাউকে?” এইসব দেখে শুনে নবাবগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে খুবই শঙ্কায় আছি। তাই দোহার – নবাবগঞ্জ এর ভবিষ্যৎ ফলাফল বলতে পারাটা অনিশ্চিত…..

অন্য খবর  শাহবাগে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নীলাম্বরী শাহরিয়া

বাংলা বিভাগ

দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ

টুকনিকান্ডা, কলাকোপা, নবাবগঞ্জ, ঢাকা।

আপনার মতামত দিন