বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আলোচিত ও আশংকার একটি বিষয় হলো কোভিড -১৯।কোভিড- ১৯ হলো একটি নতুন ভাইরাস যা অতীতের সার্স ভাইরাস এবং কয়েক ধরনের সাধারণ সর্দিজ্বর জাতীয় ভাইরাসের পরিবারভুক্ত।অথচ ছয় মাস পূর্বেও এই নামটি আমাদের কাছে ছিল অপরিচিত। কিন্তু এই অপরিচিত ক্ষুদ্র ভাইরাসটিই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পর্যন্ত এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে প্রায় সাড়ে চার লাখের মত মানুষ। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। যার প্রভাব বাংলাদেশে ও পড়েছে। আমাদের দেশেও প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা,সাথে বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যাও। যে হারে প্রতিনিয়ত নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমরা অতি শীঘ্রই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছি তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার আক্রান্তের হার অন্যান্য জেলা গুলোর তুলনায় অনেক বেশি।আর প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন সনাক্তের সংখ্যা।যা এ উপজেলার জন্য হুমকিস্বরূপ। দ্রুত সাধারণ মানুষকে যদি সচেতন না করা যায় তাহলে হয়তো এ দু উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে। ভেঙ্গে পড়বে স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
দোহার নবাবগঞ্জে যাতে এই ভাইরাস আর বিস্তার ঘটাতে না পারে সেক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু করণীয় আছে।আমাদের মত তরুণ সমাজকে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এলাকা ভিত্তিক টিম গঠন করে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে পারি। সবাই যাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে পারি।কেউ যাতে অপ্রয়োজনে ঘরের বাহির না হয়,আর দিনমজুর বা মধ্যবিত্তের যাতে খাদ্যব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয় সেদিকে নজরদারী করতে সরকারকে সহায়তা করতে পারি। এভাবে অগ্রসর হলে হয়তো আমরা দোহার নবাবগঞ্জকে করোনামুক্ত করতে পারবো অতিসহজেই ইনশাআল্লাহ।
“নাই নাই ভয়
হবে হবে জয়
খুলে যাবে এই দ্বার
প্রয়োজন শুধু সচেতনতার”
নাহিদুল দ্বীপ
তারুণ্য ফাউন্ডেশন
নয়াবাড়ি, দোহার,ঢাকা