ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নিয়ে অনিয়মভাবে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা চৌকিঘাটা জনমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পরীক্ষায় মোট ৭১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। ম্যানেজিং কমেটি ও শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অকৃতকার্য হওয়া কোন শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি দেয়া হয় নি। কিন্তু আগলা চৌকিঘাটা জনমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.কা.ম শরীফুল ইসলাম কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অকৃতকার্য হওয়া শাহাদাত, মোরসালিনও মিনহাজ নামের তিন শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময় নবাবগঞ্জের কৈইলাল টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয় হতে পরীক্ষা দিতে সহায়তা করেন। নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া অন্য শিক্ষার্থীরা এ বিষয় টি জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধারন ছাত্রদের দাবী আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এমনকি এ বিষয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে সাগর সহ কয়েকজন অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থী স্কুলের ম্যানেজিং কমেটির সদস্য মো. জুয়েল হোসেনের উপর আতর্কিত হামলা করেন।
এবিষয়ে মো. জুয়েল হোসেন জানান , সাগর সহ যারা আমার উপর হামলা করে তাদের আমি অনুরোধ করে বলেছিলাম আমি এ বিষয়টি জানি না, আমরা তদšত করবো এবং যারা এর সাথে জড়িত থাকবে তাদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবুও তারা আমার উপর হামলা করে।
তিনি আরও বলেন , এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে একটি তদন্ত কমেটি গঠন করি। এ তদন্ত কমেটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ.কা.ম শরীফুল ইসলাম তিনি টাকার বিনিময় তিনজন শিক্ষার্থীকে কৈইলাল টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন। তার এরকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের ম্যানেজিং কমেটি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে আমি মনে করছি।
ম্যানেজিং কমেটির আরেকজন সদস্য মো. শাহিন তিনিও সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেন, এ দুর্নীতির সাথে আমদের প্রধান শিক্ষক জড়িত । তারই সহযোগিতায় তিনজন অন্য স্কুল থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা সকলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
স্কুল ম্যানেজিং কমেটির একজন মহিলা সদস্য মিস মনিকা ইসলামও প্রধান শিক্ষকের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কৈইলাল টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার খানের বলেন , তারা বোর্ড থেকে অনুমতি এনেছে তাই আমি তাদের পরীক্ষা দিতে দিয়েছি। আপনাদের কিছু জানার থাকলে বোর্ডকে গিয়ে জিঙ্গেস করুন। প্রতিবেদকের সাথে আর কোন কথা না বলেই চলে যান তিনি।
এই একই বক্তব্য দেন আগলা চৌকিঘাটা জনমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । প্রতিবেদকের আর কোন পশ্নের উত্তর দেননি ।
এ বিষয়ে কৈইলাল স্কুলের ম্যানেজিং কমেটির সদস্য জনাব ভৌমিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই, এখনই জানতে পারলাম। এ বিষয় আমাদের ম্যানেজিং কমেটির কেউ জানেনা। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো এবং ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
আগলা ইউনিয়নের একজন স্থানীয় মো. নিয়ামত জানান , এর আগেও কয়েকবার এই প্রধান শিক্ষরে বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি মুক্ত হোক। আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো জায়গা থেকে ভালো শিক্ষা গ্রহন করুক।