আসিফ শেখ ♦ নবাবগঞ্জ উপজেলায় দুইটি পৃথক ইভটিজিং এর ঘটনায় জাকারিয়া (২৩) ও হুমায়ূন (২৪) নামের ২ যুবককে ১ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা ম্যাজিস্টেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। ১৮ই নভেম্বর রবিবার নবাবগঞ্জ থানা কার্যালয় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ সাজা প্রদান করা হয় ।
জানা যায় গত ১৫ই নভেম্বর সকাল ১০ টায় শোল্লা ইউনিয়নের আটকাহ্নিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলের সামনে থেকে জাকারিয়া নামে এক বখাটে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোতে উঠানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ও স্কুলের শিক্ষকরা এ ঘটনা দেখতে পেয়ে জাকারিয়া কে ধরার চেষ্টা করে জাকারিয়া তাদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। জাকারিয়া শোল্লা ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের করম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আটকাহ্নিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: কামরুজ্জামান নবাবগঞ্জ থানায় জাকারিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ শনিবার দুপুরে জাকারিয়াকে আটক করে।
অপর দিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের মোসলেমহাটি গ্রামের মো: রফিক মোল্লার ছেলে হুমায়ূন দীর্ঘদিন যাবত গালিমপুর ইছামতি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষষে গ্রামে ৩ বার হুমায়ূয়নের বিচার করার পরও হুমায়ূন মেয়েটিকে উত্যক্ত করতে থাকে। হুমায়ূনের বিয়ের প্রস্তাবে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে প্রাণনাশের হুমকী ও দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ করলে শনিবার রাত ৮ টায় গালিমপুর বাজার থেকে পুলিশ হুমায়ূনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হুমায়ূনকে রবিবার বেলা ১১ টায় ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টার অপরাধে জাকারিয়াকে দুপুর সাড়ে ১২ টায় থানা কার্যালয়ে উপজেলা ম্যাজিস্টেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ বছর করে সশ্রম কারদন্ড প্রদান করেন।