নববর্ষ উদযাপনে দোহার-নবাবগঞ্জে বিদেশী সংস্কৃতির আবির্ভাব

379

কাজি জিয়াদ ♦ পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বাঙ্গালী জাতি বাংলার লোক সংস্কৃতিকে তুলে ধরে নানা উৎসবের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। কিন্তু, দোহারনববাগঞ্জে বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদযাপিত হলেও কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে বিদেশী সংস্কৃতির ব্যবহার। দোহার ও নবাবগঞ্জের রাস্তায় তরুণদের অংশগ্রহনে চলন্ত পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকে করে যে আনন্দউৎসবের আয়োজন ছিল সেখানে বাংলা গানের স্থলে শোনা গিয়েছে হিন্দি আর ইংরেজি গান।

এছাড়া ও দোহারের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত নৃত্যানুষ্ঠানেও ছিল একই অবস্থা। বৃহস্পতিবার সন্ধায় নববর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে দোহারের মালিকান্দা চিতাখোলা ও সুতারপাড়া আব্দুল হামিদ হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত নৃত্যানুষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে সেখান কার নৃত্য শিল্পীরা বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি আর ইংরেজি গানের সাথে নৃত্য করছে। এ প্রসঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে আশা মেঘুলার একটি ড্যান্স ক্লাবের সাথে কথা বললে তারা জানান, মানুষকে আনন্দ দেওয়াটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য এবং দর্শকরাও এটা উপভোগ করছে বলে তার দাবী করেন। তারা আরো বলেন, হিন্দি বা ইংরেজি গানে নেচে স্টেজ যতটা মাতানো যায় বাংলা গানে তা সম্ভব না।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য পিনু খানের পুত্র রনির যাবজ্জীবন

এ ব্যাপারে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আশা দর্শক দের মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন, দেশী বা বিদেশী যেকোন সংস্কৃতিই হোক না কেন তারা সব ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে রাজি।

এই বিষয়ে ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদের দোহার আঞ্চলিক শাখার এক কর্মকর্তা জনাব কাজি জুনায়েদ আমাদের বলেন, “এই দিবসে হিন্দি গান আর মাইকেল জ্যাকসনের গানের সাথে নাচানাচি করা খুবই দুঃখজনক। এবং এটি বাঙ্গালী জাতীর জন্য একটি অশুভ লক্ষণ। কেননা একটি প্রবাদ আছে, ‘একটি দেশকে ধ্বংস করতে হলে সে দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দাও।”

আপনার মতামত দিন