ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নারী কেলেঙ্কারিঃ উত্তপ্ত জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

792

নিউজ৩৯♦ নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে উঠেছে নারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ। সেই সাথে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হযরত আলীর বিরুদ্ধেও ঊঠেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর বিরুদ্ধে মানব বন্ধনও করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।  পরে ঘটনাস্থলে দোহার থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদের সাথে পরকিয়ার জের ধরে তার স্ত্রী রুমা আক্তারের সাথে গত শনিবার রাত নয়টার দিকে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় স্বামীর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে মোস্তাক আহমেদকে কোপ দিতে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হযরত আলী উপস্থিত হন এবং তিনি প্রথমে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করলেও এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী রুমা আক্তারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন। এ সময় রুমা আক্তারের চিৎকারে লোকজন দোহার থানায় খবর দিলে দোহার থানা ওসি তদন্ত শেখ সোহেল রানা তাকে উদ্ধার করে। এসময় দোহার থানায় রুমা আক্তার প্রধান শিক্ষক রুমা আক্তার বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অজানা কারনে শিক্ষক হযরত আলীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয় নি। 

অন্য খবর  দোহারে ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিলো শিক্ষক

পরবর্তীতে সোমবার সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে মানব বন্ধন ও স্কুলের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা স্কুলে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয় ও স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। 

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষ, অভিভাবক, দোহার থানা ওসি তদন্ত সহ একটা জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় । এসময় অভিভাবকরা সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়া জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন এবং এই ঘটনার কোন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিদ্যালয় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। 

আপনার মতামত দিন