দোহার নবাবগঞ্জের পরিক্ষার্থীরা ডুবেছে ফেসবুকে আর প্রশ্ন ফাসের আশায়

291

নিউজ৩৯.নেট : তথ্যপ্রযুক্তি যেমন এনেছে গতি, তেমনি এর নেতিবাচক প্রভাবে ডুবছে তরুণ সমাজ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ফেসবুক-ইন্টারনেট ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী খুঁজে পাওয়াই দায়। শহরের ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। ফেসবুক-ইন্টারনেটেই ডুবছে শিক্ষা ব্যবস্থা। 

এছাড়া এইচএসসির ফলের এই ছন্দপতনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এর পেছনে তারা ৬টি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো হলো: প্রশ্নের ধরণ পরিবর্তন, অন্য বোর্ডের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া, প্রশ্ন ফাঁসের গুজব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নতুন বিষয় বাধ্যতামূলক করা এবং ইংরেজি ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে বেশি অকৃতকার্য হওয়া। তারা বলছেন, সরকারের উচিত এসব ব্যাপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

এরা ভেবেছিল প্রশ্ন ফাস হবে। কিন্তু সরকারের কঠোর আইন প্রয়োগ সতর্কতার কারণে ফাস না হোয়ায় এরা ফেল করেছে। 

জয়পাড়া কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রধান সিদ্দিকুর রহমান  বলেন, আমাদের কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকার পরও অনেক ছাত্রী লুকিয়ে ফোন নিয়ে আসে। ছাত্রীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাথরুমে গিয়ে মোবাইলে কথা বলে। মোবাইল আটকে রাখলে অভিভাবকরা কলেজে এসে অভিযোগ করেন, কেন মোবাইল ধরেছি। তাহলে আমরা কোথায় যাবো! কিভাবে শিক্ষা দেবো!

অন্য খবর  দোহারে আন্তজেলা ডাকাত সর্দার রনি গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, অনেক অভিভাবক আবার এসে অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রাত জেগে পড়ার নামে মোবাইলে ফেসবুক খুলে বসে থাকেন। এভাবে ফেসবুক ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার মান দিন দিন খারাপের দিকেই যাবে। আগামীতে আরও খারাপ ফল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইন্টারনেটের কুফল দিন দিন আরও বাড়বে। পাশাপাশি পাসের হার আরও কমবে। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ঠিকমতো পড়ে না বলে জানান তিনি।

এছাড়া দোহার নবাবগঞ্জে প্রাবাসী অর্থের উৎস হওয়ার কারণে এখানে মেয়েরা জানে যে হয়তো অনার্সে ভর্তি হলেও তাদের বিয়ে হয়ে যাবে। আর তাই তাদের পড়ালেখার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। এরা কলেজে আসে ঘুরতে, গল্প করতে আর বাড়ীর কাজ থেকে বাঁচতে। এদের নিজস্ব স্বপ্ন, লক্ষ্য বা জীবনবোধ নেই। আর ছেলেদের ধারণা ভিসা এলেই তারা বিদেশে যাবে, নয়তবা কোন কাজে ঢুকে যাবে, এরাও কলেজে আসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতে, গল্প করতে, ইয়াবা খেতে। এরা পড়ালেখা করাকে টাইম পাস মনে করে।

অভিভাবক মহলের চরম অসত্ত্রকতার কারণে ভেঙ্গেগে পড়েছে দোহার নবাবগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা। 

তাই ফল প্রকাশের পর কলেজ ক্যাম্পাসেসে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ছিল কান্নার রোল। প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় অনেকেই মাঠের মধ্যে কান্নায় গড়াগড়ি করেন।

আপনার মতামত দিন