নিউজ৩৯♦ নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর বারুয়াখালী ও শিকারীপাড়া ইউনিয়ন ও দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নে তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। গরমের তীব্রতা যখন প্রখর ঠিক তখনি যেন বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যায়।
গত কয়েক দিনে লোডশেডিয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েক গুন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এ দিকে ভ্যাপসা গরমে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বিপাকে। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লোডশেডিং। সন্ধ্যা হলে শিক্ষার্থীরা পড়তে বসার ইচ্ছে থাকলেও পড়তে পারে না বিদ্যুৎ না থাকায়। প্রতিদিনের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ।
কর্মজীবী মানুষরা অফিস আদালত থেকে বাড়ি ফিরেই পড়ে বিপাকে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে গরমে জনজীবনে নেমে আসে চরম অস্বস্তি। যার কারনে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে পাঠ্য সিলেবাস থেকে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পায় প্রত্যন্ত অবহেলিত এসব এলাকার মানুষেরা।সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকলেও নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে বিদ্যুতের যথেষ্ট ঘাটতি। এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রামের বাসিন্দা জেনিফার আদি গোমেজ জানায়, সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে আর কখন আসে বলা যায় না। মাঝে মাঝে রাতে বিদ্যুতের দেখা মিলে না। এভাবেই গরমে ঘুমিয়ে পড়তে হয়। প্রশাসনের কাছে নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের অবহেলিত এসব মানুষদের একটাই দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত লোডশেডিং বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।