নবাবগঞ্জে শতবছরের পুরনো ভবনে বসবাসঃ যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় রকমের বিপর্যয়

239

নিউজ৩৯♦ নবাবগঞ্জে শতবছরের পুরনো অর্ধশতাধিক পুরনো জরাজীর্ণ ভবনের বাসিন্দারা প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। যেকোন সময় এই খানে ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে টানা কয়েকদিনের অতিবৃষ্টির দরুণ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে। ঝুকিতে রয়েছে বাকি গুলোও। নবাবগঞ্জ উপজেলার বাগমারা ও কলাকোপা গ্রামে এই ভাবে ঝুকি নিয়েই থাকছে ভবনের বাসিন্দারা। 

স্থানীয়রা জানান, দেড়শ বছর আগে নির্মিত এ ভবনগুলো প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর আগেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার কলাকোপা গ্রামের কবিরাজ বাড়ি, রাধানাথ সাহার বাড়ির কিছু অংশ, তেলিবাড়িসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাগমারা গ্রামে বসবাসরত অলিউর রহমান রঞ্জুর বসত বাড়িতে একটি ভবন ভেঙে পড়লে তিনি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা রাজিবুল আহসানের বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

স্থানীয় গৌর চন্দ্র দাস (৭০) জানান, কলাকোপা ইউনিয়নের বাগমারাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় শতাধিক বছর আগের পুরনো ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পার্শ¦

বর্তী জালালপুর গ্রামের হাজি ফজলুর রহমান (৮৭) জানান, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি ভবনগুলো জরাজীর্ণ। তিনি আরো জানান, বাগমারা জলিল মোল্লার বাড়ির ভেতর যে পুরনো ভবনগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত ভেঙে ফেলা উচিত। এ সব ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

অন্য খবর  উঠতি বয়সীদের বাইক চালানো নিয়ে কঠোর অবস্থানে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

কলাকোপা মধ্যনগর গ্রামের হরেকৃষ্ণ মালাকার বলেন, তার বসতবাড়ির সামনের একটি ভবন ২০ বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রশাসন অনেক আগেই এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু ইট খুলে পড়লেও তিনি কিছু করতে পারছেন না। সম্প্রতি প্রতিবেশী পরিবার তাকে চাপ সৃষ্টি করলে তিনি বিষয়টি ভূমি অফিসকে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আহসান জানান, এলাকাবাসী এ ধরনের অভিযোগ করেছে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অনান্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন