অস্ত্র নয়, কলমের শক্তিতে বলীয়ান হবে ছাত্রলীগ : সাইফুর রহমান সোহাগ

191

ছাত্র রাজনীতির অতীত ও বর্তমান সময়ের আলোকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ছাত্রসংগঠনের প্রধান হিসেবে তার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সোহাগ জানান, ছাত্রলীগ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ছাত্রলীগের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন ও সাম্প্রতিককালে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব মোকাবেলাসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক সদস্যের কারণে সংগঠনটির ওপর কালিমা লেগেছে। ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরু করে তারা। আমরা সেই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে চাই। কেননা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অভিভাবক। তিনি ছাত্রদের হাতে বই ও কলম তুলে দিয়েছেন। আমরা ছাত্রলীগ অস্ত্র নয়, কলমের শক্তিতে বলীয়ান হতে চাই। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগে যারা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে বা করেছে তাদের চিহ্নিতকরার কাজ চলছে। এটা আরো জোরদার করা হবে। যদি কেউ নিজের স্বার্থে সংগঠনে শিবির বা ছাত্রদলের কাউকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।

অন্য খবর  মুকসুদপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিরতণ

তিনি ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটে নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে যারা নেতৃত্বে আসবে তাদের অবশ্যই নিয়মিত ছাত্র হতে হবে। বয়স ২৯ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে। এর বাইরে যারা কমিটি করার চেষ্টা করবে সংগঠন থেকে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।ক্যাম্পাসে সহাবস্থান বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত এই সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরাও সহাবস্থান চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তিনি ছাত্রদলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে কমিটি করুন। তৃণমূলের ভোটে নেতা নির্বাচিত করুন। সংগঠনের চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনুন। আমরাও আপনাদের সহযোগিতা করব। সে সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ছাত্রশিবিরের সঙ্গ ছেড়ে দিন। এতে দেশ উপকৃত হবে, ছাত্রসমাজ উপকৃত হবে।ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগকে আরো সাংগঠনিকভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলা আমাদের কাজ। যে কোনো মূল্যে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড বজায় রাখা হবে। দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে দেশের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজকে জাগিয়ে তুলব। মোট কথা ছাত্রলীগকে একটি সুশৃঙ্খল ও একতাবদ্ধ সংগঠন হিসেবে উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

অন্য খবর  রবিবার সালমান রহমানের সাথে তৃণমূল নেতা-কর্মিদের মতবিনিময়

ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে সোহাগ বলেন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যেন নির্ভয়ে ক্যাম্পাসে যেতে পারে, সুন্দরভাবে পড়াশোনা করতে পারে। অভিভাবকরা যেন নিশ্চিন্তে তাদের সন্তানদের ক্যাম্পাসে পাঠাতে পারেন সে জন্য ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের পাশে থাকবে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাই করবে। সে ব্যবস্থা আমরা করব। ইভটিজিং প্রতিরোধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সোহাগ বলেন, নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি গরিব, মেধাবী ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। তাদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা করুন। যারা অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারছেন না তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাদের সহায়তা করা হবে। মেধাবীদের মূল্যায়ন করুন।

আপনার মতামত দিন