নিউজ৩৯♦ ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পাওয়া গেছে পৃথিবীর প্রাচীনতম কুরআন শরীফের পান্ডুলিপির একাংশ। পান্ডুলিপির চারটি পৃষ্ঠার মধ্যে প্রথম দুই পৃষ্ঠায় কুরআন শরীফের ১৯ নম্বর সূরা মারইয়ামের ৯১-৯৮ নম্বর আয়াত ও ২০ নম্বর সূরা ত্বা-হার ১-৪০ নম্বর আয়াত। অন্য দুই পৃষ্ঠায় রয়েছে ১৮ নম্বর সূরা কাহাফের ১৭ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত।
বৃটিশ গবেষকরা কুরআনের এই প্রাচীনতম পান্ডুলিপির হদিশ পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত। তারা বলছেন, যেই ব্যক্তি এটি লিখেছেন তার সাথে নবীজীর (সা.) সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছিল। সহজ কথায় একজন সাহাবী (রা.) পান্ডুলিপিটি লিখেছেন।
কোনো এক সাহাবীর (রা.) হাতে লেখা কুরআনের পান্ডুলিপির হদিশ জানতে পেরে সারা বিশ্বের মসুলমানদের মধ্যেও বেশ খুশি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মক্কা বা মদীনায় লিখিত কুরআনের পান্ডুলিপি ব্রিটেনে যাওয়া নিয়ে এরই মধ্যে বহু মুসলমানের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
জনপ্রিয় আমেরিকান মুসলিম পন্ডিত আবু আম্মার ইয়াসির কাজী জানিয়েছেন তিনিও কুরআনের প্রাচীনতম পান্ডুলিপির ব্রিটেনে উদ্ধারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়েছেন। ইয়াসির কাজী বলছেন, অনেক মুসলমানই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কিভাবে প্রাচীন আমলের বহু ইসলামী দলিল-পান্ডুলিপি অমুসলিম দেশ ও লাইব্রেরিতে গেল। জবাবে আমি বলেছি, সহজ কারণ হল ঔপনিবেশিকতা ও পয়সার জোর। কিছু পান্ডুলিপি স্রেফ দখল করা হয়েছে, তবে ঐতিহাসিক মূল্যের কথা বিবেচনা করে ইউরোপীয় পর্যটকরা বেশির ভাগ পান্ডুলিপিই ব্যক্তিগত মালিকদের কাছ থেকে বা কালোবাজার থেকে অর্থের বিনিময়ে খরিদ করেছেন।
২০১১ সালে সন্ধান পাওয়া পান্ডুলিপির পাতা কয়েকটি রেডিও কার্বন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে এ বছর বলা হচ্ছে এটি কমপক্ষে ১৩৭০ বছর আগে ৬৪৫ সালে লেখা হয়েছে। এই হিসাবে পান্ডুলিপিটি নবীজীর (সা.) ওফাতের ১৩ বছরের ও তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানের (রা.) খেলাফতের দ্বিতীয় বছরের মধ্যে লেখা হয়েছে।