নিউজ৩৯♦ আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ অনেকে। প্রতারক দেলোয়ার হোসেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত আলী মাঝির ছেলে। সর্বস্ব হারিয়ে সপরিবারে আহাজারি করছেন প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারক দেলোয়ার হোসেন ডেনমার্ক পাঠানোর কথা বলে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা নেয়। টাকা হাতে পেয়ে বিদেশ যাত্রীর আর কোনো খোঁজ নেয়নি দেলোয়ার। কিছুদিন পর দেলোয়ার যাত্রীদের অবৈধভাবে সাগর পথে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা যাননি। এরপর থেকে আদম পাচারকারী দেলোয়ার পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
নবাবগঞ্জের আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতারক আদম ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন তাকে ডেনমার্ক পাঠানোর কথা বলে গত বছরের ১২ মে উভয় পক্ষের স্বজনদের সামনে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। কয়েক মাস পরে যোগাযোগ করা হলে সে নানা তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে সে মীরপুর-১১ নম্বরের স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দিয়ে গা-ঢাকা দেয়। ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। এখন সে টাকাও দিচ্ছে না, বিদেশেও পাঠাতে পারছে না।
বক্সনগরের আত্তাপ হোসেন বলেন, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। তাকে কোথাও খুঁজে পাইতেছি না। আমার মতো অনেকেই দেলোয়ারের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
অক্টোপাস ২০১০ ট্রেডার্স লি. নামের এজেন্সির মাধ্যমে তাদের ডেনমার্ক পাঠানোর কথা বলেছিল দেলোয়ার।
আদম ব্যবসায়ী দেলোয়ারের পরিচিত এক ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি মানব পাচারকারীদের নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হওয়ায় সে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে। দেলোয়ারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।