এক.
সুকুমার বড়ুয়া
ঝানু পাকা পড়ুয়া
যতোসব কথা বলে
সবকিছু ঘরোয়া।
ছড়া-গড়া মনটা
নেই উৎকণ্ঠা
সপ্তাহে মনে পড়ে
দুই চার ঘণ্টা।
দুই.
ছড়া কাটে ছড়াকার
মুখ ভরা দাঁড়ি তার
পল্টনে লোকটারে
দেখা যায় বার বার।
কী যেন কী নাম তার
পড়ে বই নামতার
এক টাকা পাঁচ সিকে
এক দুই তিন চার।
বখেটে
টাকা নেই পকেটে
লোকটা কি বখেটে!
বাসে ভাড়া না দিয়েই
চলে আসে ফকেটে।
মালপানি বাঁকাতে
খুব পারে তাকাতে
সারাদিন চলাফেরা
ডেমরা টু ঢাকাতে।
পয়সাটা না দিয়েই গাড়িতে
চট করে চলে এসে বাড়িতে
বয়কে সে ডেকে কয়,
দে কী আছে হাঁড়িতে
সিনেমায় চলে যায়
খেয়ে তাড়াতাড়িতে।
আমরা আছি
ঘুরছে লাটিম ঘুরতে থাকে ঘুরুক
লাগছে আগুন পুড়তে থাকে পুড়ুক।
মরি বাঁচি আমরা আছি
উড়ছে ধোঁয়া উড়তে থাকে উড়ুক।
অস্ত্রপাতি ধরছে যারা ধরুক
লাগছে লড়াই লড়তে থাকে লড়ুক
মরি বাঁচি আমরা আছি
মরছে মানুষ মরতে থাকে মরুক।
অভাব
অভাব অভাব দারুণ অভাব
পালটে গেলো লোকের স্বভাব
রাঘববোয়াল ফস্কে গেলো
চিংড়ি হলো দেশের নবাব।
করছে যে যা করে করুক
মরছে যারা মরে মরুক
চুনপুঁটিরা লেজ নাড়িয়ে
খাচ্ছে আহা মজার কাবাব।
স্বপ্ন
তুই যদি মা রানি হতিস কত্ত ভালো লাগতো!
আমি হতাম রাজকুমারী, চাকর-নফর থাকতো।
আব্বা যেতেন সিংহাসনে, আমি যেতাম তাঁর পেছনে
উজির-নাজির পেয়াদা-পাইক কত্ত ভালোবাসতো!
আমি যখন ছাদের পরে চুল শুকাতাম গোসল করে
দূর থেকে সব গরিব প্রজা আমায় চেয়ে দেখতো।
বলতো সবে রাজার মেয়ে, অনেক ভালো সবার চেয়ে
বল্ না গো মা, এসব কথা কেমন ভালো লাগতো?
বাড়ি ভরা দালান হতো, আব্বা কত ভোজ বসাতো
তখন কি আর ছাদভাঙা এই খড়ের কুটির থাকতো?