একুশের কবিতা
এইদিন থেকে কিছুদিন আগে-
যখন ফাগুন নব-প্রতিভাত
কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আমেজ
একদল কিশোরের প্রাণে জাগে।
আর কিছু মানুষেরা সাগরবেলায়
নিজের অস্তিত্ব ভুলে
দাসত্বের রজ্জু পরে গলে মত্ত ছিল
কিছুদিন রাজা রাজা খেলায়।
খেলা জমেছিল, ওরা ঘাগু খেলোয়াড়;
আর সহসা মৌসুম গেলো ঘুরে।
দখিন দুয়ার থেকে নিদাঘ-বসন্ত বায়ু
ছুটে আসে দীর্ঘশ্বাসে
স্বদেশ-জননী চায় মাতৃ-অধিকার।
করপুটে করবীর রঙিন চুম্বনে
কিশোর-বালক আসে মা’র পাশে;
কণ্ঠে তার উদাত্ত মায়ের ভাষা।
রক্তের গোধূলি থেকে টেনে নিয়ে মুখ
জননী- শোকার্তা মাতা চলে রাজপথে
অশ্রুহীন শত আঁখি বিমুগ্ধ বিমূঢ়।
দেয়ালিকা
পাষাণ মানুষ বুঝলে না কেউ জীবনের অভিপ্রায়,
তাই লিখে যাই অমর কাহিনি মূক দেয়ালের গায়।
আঁধার জীবনে আলেয়ার আলো স্বপ্নসৌধ গড়ে,
দিনের আলোতে রাতের স্বপন নিমেষে নিমেষে ঝরে।
চলতি পথের এধারে ওধারে নিত্য বাসনা কুড়াই,
রোশনিবিহীন বাস্তবতায় ধূলিতে যে তা ওড়াই।
তিমির রাতের আঁধার ভাঙিয়া স্বপ্ন-আহত পাখি
নিয়ত খুঁজিছে আলোর পরশ তন্দ্রাবিহীন আঁখি।
মানবতাহীন মানব সমাজ- হায়রে কঠিন বিধা!
মানুষ চিবোতে মানুষের হাড় কেউ তো করে না দ্বিধা।
মানুষে মানুষে এতো ব্যবধান! কালের প্রবাহ শেষে-
হায়, বুঝি আজ সব খোয়ালাম বিংশুতি যুগে এসে!