অন্বেষা
আমাকে তোমরা একটু ভেবো না
নিশ্চিন্ত আমি মৃত্যুর কাছাকাছি
আমার ডান হাতে উদ্যত গ্রেনেড
বক্ষে আমার বিরাট পৃথিবী।
আমি আদিম হিংস্র আদমের নবজাত শিশু
চোখে আমার দুরন্ত অহমিকা
আমি ভালোবাসি ফল-ফুল-নদীজল- তাই
প্রতিদিন খুঁজে ফিরি অগ্নিদগ্ধ শ্মশান-ভস্ম-ছাই।
যুদ্ধ হবে
যদিও আমার হাতে বেয়নেটের মতো ধারালো
অস্ত্র নেই, নেই যুদ্ধযাত্রার বোমারু বিমান
গ্রেনেড কিংবা থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল
তবু আমি উদ্যত সৈনিকের মতো
ভালোবাসি যুদ্ধকেই।
কেননা যুদ্ধই আমার শাশ্বত চেতনার মুক্তি।
অসঙ্গত শান্তির প্রস্তাব অসম্ভব
এখানে যুদ্ধ হবে জানি-
তুমিও জানো আমিও জানি
তবু কেন অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তির ব্যর্থ প্রহসন!
চারশ কোটি মানুষের বিশ্বে
এখনো মুক্তির সীমিত তোরণ।
শ্রমিকের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে গ্রাস
পুঁজিবাদ গোগ্রাসে আঁকড়ে ধরে আছে
অগণিত রাজ্যপাট, সুরম্য প্রাসাদ;
ধোঁয়ার ভ্যাঁপসা গন্ধময় কারখানা হতে
প্রতিদিন ফিরে আসে শ্রমিকের শূন্য হাত।
এ কথা অসত্য নয়-
নিগ্রোদের পিঠে পিঠে চাবুকের দাগ
চিলির মুক্তিকামী মানুষেরা শান্তির প্রত্যাশী।
সাম্রাজ্যবাদের লোলুপ দৃষ্টির লেলিহান শিখা
যেখানে-সেখানে ছড়ায় আগুন;
বেপরোয়া সৈনিকেরা হত্যার আদেশ নিয়ে
উজাড় করে দেয় গ্রাম-গ্রামান্তর।