ঢাকার দোহারে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, আজ ভোট চাইতে আসিনি। এসেছি খবর নিতে। বুধবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার সাদাপুরে নদী ভাঙন কবলিত একশ’ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করার সময় তিনি এই কথা বলেন।
এরপর নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুরে সাড়ে ১৩শ’ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে এবং দোহারের নয়াবাড়ী, মাহমুদপুর, কুসুমহাটি ও মুকসুদপুর ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আতঙ্ক বা ভয়ের কিছু নেই। সরকার আপনাদের পাশে আছে। যাদের ঘরবাড়ি নেই, তাদের জন্য সরকার পুনর্বাসন ব্যবস্থা করবে। যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা আমার কাছে আসবেন। আমি সার্বিক বিষয়ে আপনাদের পাশে থেকে সহায়তা করব।
এসময় সালমা ইসলাম বলেন, বন্যা ও নদীর ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কষ্ট ভাগাভাগি করতে এসেছি। আমি জানি এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন অনেক মানুষ। দোহার নবাবগঞ্জের মানুষের কথা চিন্তা করেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুই উপজেলায় প্রায় একশ’ টন চাল বরাদ্দ করেছেন, যা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সারা দেশে বন্যার ফলে পদ্মা সংলগ্ন আমাদের দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে এ অঞ্চলে নদী তীরবর্তী মানুষের ঘরবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কাঁচা ও পাকা সড়কসহ জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বানভাসি পরিবারগুলোর দুর্ভোগ। তাই আমাদের সবাইকে এ সময়ে সাহসিকতার সঙ্গে এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। বিপদে সাহস হারালে চলবে না। ঘুরে দাঁড়াতে হবে পরিবার-পরিজন নিয়ে। আপনাদের কথা চিন্তা করে আমি সংসদে ও ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, দোহার ও নবাবগঞ্জের মানুষকে পদ্মার হাত থেকে রক্ষায় নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে দেয়ার জন্য। তিনি কথা রেখেছেন। আশা করি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হলেই পদ্মার ভাঙন ও বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে এ অঞ্চলের লাখো মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, ওসি মোস্তফা কামাল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন দিল, জাতীয় পার্টি ঢাকা জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর চোকদার প্রমুখ। দোহারে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ইউএনও কেএম আল আমিন, ওসি সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, এমএ হান্নান, আমজাদ হোসেন আজাদ, শামীম আহমেদ হান্নান, জাতীয় পার্টির নেতা ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবদুল আলীম প্রমুখ।