নারিশায় বাড়ি ঘর ভাংচুর অর্থসহ অলংকার লুট

931

 

ঢাকার দোহারে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আঃ রহিম খান, মমিন খান ও আহাম্মেদ ফকিরের বাড়িসহ প্রায় দশটি বাড়ি ঘর ভাংচুর এবং নগদ অর্থসহ স্বর্ণ অলংকার লুট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের রুইথ্যা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ঢাকার দোহার উপজেলা নারিশা ইউনিয়নের রুইথ্যা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ডিলার হান্নানকে ইয়াবাসহ এলাকাবাসী আটক করে। হান্নানের আটকের কথা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে পিস্তল মন্ডা (৩৫), চাপাতি আনোয়ার (৩৩), সেভেন গিয়ার কাউসার, ইয়াবা আলম (৩০)আব্দুল মজিদের ছেলে ইয়াবা আলাউদ্দিন (৩৪), মেহের মোল্লার ছেলে হিরন (৩০)সহ অজ্ঞাত বিশ ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মৃত লাল খানের ছেলে রহিম খান, মমিন খান, কাসেম ফকির ও আহাম্মেদ ফকিরের বাড়িসহ প্রায় দশটি বাড়ি ঘর ভাংচুর এবং নগদ অর্থ ও স্বর্ণ অলংকার লুট করে ডিলার হান্নানকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলার ফুলতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে সন্ত্রাসী বাহিনী মরিয়া হয়ে ফের হামলা চালিয়ে রহিমের ঘর থেকে ৫ টি দামী মোবাইল, ৩৮ হাজার টাকা ও সাড়ে চার ভরি স্বর্ণ, মমিনের বাড়ি থেকে তিনটি মোবাইল দশহাজার টাকা এবং দেড় ভরি স্বর্ণ, কাসেম ও আহাম্মেদ এর বাড়ি থেকে চারটি মোবাইল এবং পনের হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় পিস্তল মন্ডা বাহিনী দল।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবেঃ সালমান এফ রহমান

স্থানীয় বাসিন্দা মরিয় বেগম (৪০) জানায়, সকাল দশটায় আমি ও আমার মেয়ে তানজিলা (১৬) ভাত খাওয়ার জন্য বসেছি তখনই হইহুলর শুনে বেড় হয়ে দেখি মন্ডা বাহিনী এদিকে আসছে, প্রাণ বাঁচাতে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি ঘরের আলমারী ভেঙ্গে  আড়াই ভরি স্বর্ণ এবং নগদ পনের হাজার টাকা নেই।

আয়েশা বেগম (৩৫) বলেন, মন্ডাসহ বিশ ২৫ জন বাড়িতে প্রবেশ করে আমার ৮ বছরের মেয়ে আমেনার মাথায় পিস্তল ধরলে আমার কানের দুল ও গলার স্বর্ণের চেইন খুলে দিয়ে মেয়েকে প্রানে বাঁচাই। সালেহা বেগম, জহুরা বেগম এবং তাসলিমাসহ অনেকেরই এমন হাজার অভিযোগ পিস্তল মন্ডা বাহিনীর বিরোদ্ধে। এই ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফুলতলা ফাঁড়ির এসআই আবিদ হোসেন জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি জরুরী ভাবে আইনি ব্যাবস্তা নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।

আপনার মতামত দিন