শনিবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক মন্ত্রী, বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের কণ্যা ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সাল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি যুগ সন্ধিক্ষণ। এটা যেন পূর্বাপরের এক মেলবন্ধন। দুটি বিপরীত দ্বান্দ্বিক রাজনৈতিক সমীকরণের এক ঐতিহাসিক মোহনা। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা আরও কঠিন; শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এই কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষারই এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হলো ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর।
পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর হলো বাংলাদেশের নিপীড়িত বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের শৃঙ্খলমুক্তির এক অধ্যায়; যা বাকশালের নাগপাশে বন্দি ছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি বটে। কিন্তু ’৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে এদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। কারণ ৭২-৭৫ পর্যন্ত মানুষ ছিল মৌলিক অধিকার তথা বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার এমনকি রাজনৈতিক স্বাধীনতা হতে বঞ্চিত।
তিনি আরও বলেন, সময়ের স্রোতে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতার সমাধির ওপর ৭ নভেম্বর দাঁড়িয়ে যায় জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান। সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের ও নিজেদের প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানকে কারাগারের অন্ধকার জিঞ্জির ভেঙে বের করে নিয়ে আসে আলোয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, আগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি হারুন অর রশিদ ওসমানী।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান পান্নু, ঢাকা জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল রশিদ, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ঢাকা জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবেক গালিমপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান তপন মোল্লা, মোঃ সিরাজ, আবজাল খান, শাহীন খন্দকার, আব্দুল আওয়াল আকন্দ, এডঃ সুমন মৃধা, মোঃ বোরহান, আব্দুল বাতেন, সেলিম চৌধুরী, হুমায়ূন মোল্লা, মোঃকায়কোবাদ, মুরাদ মেম্বার, আমান ভূইয়া, নুর ইসলাম, ইয়াহিয়া খান, এস এম সেলিম, জাহাঙ্গীর, গাজী হাসেম, ইলিয়াস হোসেন শাহিন, সবুজ খান, মুন্না, লুৎফর ভূইয়া, সালাউদ্দিন, রহমত, কাওছার, আফানুর, রাকিব, মেহেদি হাসান বিপ্লব, জসিম মোল্লা, সিফাত,অলক, তৌহিদ বেপারী, সংগ্রাম, ইমরান সহ দোহার-নবাবগঞ্জ এর বিভিন্ন ইউনিটের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।