সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশটা শ্লোগানে আর ভাষনে স্বাধীন হয় নাই। দেশটা স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধ করে বহু রক্তের বিনিময়ে। কাজেই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে ৭১ এর মত আরেকটি গণতান্ত্রিক যুদ্ধের জন্য। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার নবাবগঞ্জে কলাকোপা পুকুর পাড় খন্দকার বাড়ির আঙ্গিনায় আয়োজিত ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিএনপির পৃথক দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শ্লোগান আর ভাষণ দিয়ে এই জালিম সরকারকে পতন ঘটানো সম্ভব নয়। যারা দেশের মঙ্গল চান সকলকে ঐক্য বদ্ধ থাকতেহবে। সরকার ও সরকারের প্রশাসনের চাপের মুখে আমরা যেন আন্দোলনের মাঠে একত্রিত থাকতে পারি। আজ সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলেই এই সম্মেলনকে খোলা মাঠে করার অনুমতি দেয় নাই।
তিনি বলেন এই এই সরকারের আর বেশিদিন সময় নাই। সামনে আসবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সরকার মনে করে বিএনপি বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা বারবার বলছি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিদেশে বিএনপির বন্ধু আছে তবে প্রভু নেই। বিএনপিকে সরকার গঠন করতে বিদেশীদের প্রয়োজন নেই। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিএনপি’র বিদেশী বন্ধু খোঁজার দরকার নাই।
তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন এ সরকার একটি মামলা বাজ, ধোকা বাজ, ধান্ধা বাজ সরকার এ অবৈধ সরকারকে আর বিশ্বাস করা যায় না আপনারা আন্দোলনের প্রস্ততি নিন। আপনারা সাহসের সাথে সকল চক্রান্তের মোকাবেলা করুন এবং মাঠে থাকুন। তিনি বলেন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে অপশক্তি সেই অপশক্তিকে খুব শীঘ্রই দেশের জনগণ মুক্ত করবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজাদুল ইসলাম হাই পান্নুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস ছালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, অ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে আজাদুল ইসলাস হাই পান্নুকে সভাপতি ও আবুল কালাম খন্দকার কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিএনপির কমিটি ঘোষনা করা হয়।
পরে দুপুরে একই স্থানে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে দোহার উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা করেন। এতে নজরুল ইসলাম মেছের কে দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মাসুদ পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক ও জীবন বেপারীকে সহসভাপতি নির্বাচিত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।