১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরে কমান্ডার খালেদ মোশারফ কর্তৃক নিযুক্ত গ্রুপ কমান্ডার ও পরবর্তী সময়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শওকত হোসেন আঙ্গুরের সঙ্গে আগলা জয়নগর ক্যাম্পে যুদ্ধ করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধের ৪৬ বছরেও তার নাম গেজেট বইয়ে উঠেনি। বর্তমানে তার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চায় তার পরিবার। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে।
নবাবগঞ্জের আগলা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ (দারু) জানান, নবাবগঞ্জ থানাকে পাক-হানাদার মুক্ত করতে ৭১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শওকত হোসেন ও তার সহযোদ্ধা আবদুল হামিদ যুদ্ধ করেন। ইছামতি নদীর গালিমপুুর, আগলা ও চুড়াইনের উত্তর-পূর্ব বাঁকে আমাদের সাথে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম¥ুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যা নবাবগঞ্জ অঞ্চলে গালিমপুরের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে বেনুখালী গ্রামের রহিম নামে এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদের বড় ছেলে আবদুল সালাম বলেন, আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার পরিবারের দাবি বাবার রাষ্টীয় সুবিধা চায় না। চাই শুধু রাষ্টীয় স্বীকৃতি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহ্ আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু জানান, কোমরগঞ্জ, বক্সনগর চুড়াইনসহ নবাবগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন আবদুল হামিদ। তার নাম রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট ভোক্ত করা উচিত।