দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২০২৪ সালের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে জনগণ প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ অনুভব করছে।
আজ সোমবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদদের। সেই সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদেরও আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ১৯৭১ সালে আমাদের বিজয় আসলেও সেই স্বাধীনতা অরক্ষিত ছিল। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে।’
এ সময় ফ্যাসিজম ও আধিপত্যবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ও জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টা আসিফ ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
এদিন সকাল ৭টা ১২ মিনিটের দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অন্যদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। সেই সঙ্গে বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। এরপর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপ্রধান।