লুঙ্গি, পুরুষের পোশাক, শত শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে, কিন্তু এখনো আটপৌড়ে ভাবমূর্তিতে আটকে আছে যেন। কিন্তু তাঁতী জানেন লুঙ্গি বুনাতে কত শ্রম, কত দক্ষতা লাগে। তারপরও পুরুষের ঘরে পড়ার পোশাক হিসেবেই রয়ে গেছে, আর এজন্যই যেন শাড়ির মত কদর কখনো পায়নি।
কিন্তু কোনো কোনো সমাজে লুঙ্গি এখনো গর্বের বিষয়। অনেকেই লুঙ্গি পড়ে সাচ্ছন্দ বোধ করেন, ঘরে বাইরেও দিব্বি চলাচল করেন। আবার অনেকের বাইরে থেকে ফিরেই লুঙ্গি না পড়লেই নয়। আর শহুড়ে তরুণদের মধ্যে হালের ক্রেজ, “আমি তো লুঙ্গি পড়ি না, জিন্স আর হাফ প্যান্ট পড়েই চব্বিশ ঘন্টা কাটাই”। এমন অবস্থায় অনলাইনে লুঙ্গি নিয়ে আসার ব্যাপারটা সহজ ছিল না, এমনটাই বলছিলেন নূর-আবেদিনের কর্ণধার আব্দুল জব্বার।
শুধু হাতে বোনা তাঁতের লুঙ্গির ই-কমার্স Nur-Abedin Lungi চালু হয়েছে সম্প্রতি। ঢাকা জেলার দক্ষিণের তিন উপজেলা কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারে হাতে বোনা লুঙ্গি তৈরি হয়। সুতো রং করা থেকে লুঙ্গি ভাঁজ করা পর্যন্ত সকল কাজ হয় হাতে।
এক সময় দেশের চাহিদার বড় অংশটি পূরণ হত এই এলাকার লুঙ্গিতে। কিন্তু পাওয়ার লুম বা মিলের লুঙ্গি আসার পর থেকে উৎপাদন কমা শুরু ঢাকা দক্ষিণের হাতের লুঙ্গির। দাম অনেক কম হওয়ায় বাজার অনেকটাই চলে যায় মিলের লুঙ্গির কাছে। কিন্তু বিশাল বহর, উন্নত মান, স্থায়ীত্ব, আরাম বিবেচনায় লুঙ্গির সমঝদারের কাছে এখনো আদৃত জয়পাড়ার তাঁতের লুঙ্গি।
বাজারে মিলের লুঙ্গির ভীরে তাঁতের লুঙ্গি খুজেঁ পাওয়া মুশকিল, দোকানীরা লাভ কম বলে তাঁতের লুঙ্গি বেঁচতে চান না, আর প্রায়ই মিলের লুঙ্গিকে তাঁতের লুঙ্গি বলে চালিয়ে দেয়া হয়। বড় ব্র্যান্ডগুলি তাঁতের লুঙ্গির বেশিরভাগই রপ্তানী করে দেন দেশের বাইরে, তাই দেশের বাজারে তাঁতের লুঙ্গি এখন মহার্ঘ বস্তু। এই বাধাকে কাটিয়ে শুধু দোহার ও নবাবগঞ্জের হাতে বোনা তাঁতের লুঙ্গির ব্র্যান্ড চালু করেছে নূর-আবেদিন।
ই-কমার্স সাইটের ঠিকানা: www.nurabedin.com , এবং তাঁদের সবসময় পাওয়া যাবে ফেসবুক পেজে: wwww.facebook.com/nurabedinlungi . ওয়েব সাইটে সরাসরি অর্ডার দেয়া যায়, পাশাপাশি ফেসবুক পেজে এলবাম দেখে পছন্দ করে মেসেজ দিলে বা ফোন নাম্বারে কল করে অর্ডার দেয়া যায়।
অনলাইনে অর্ডার পাওয়ার পর সরাসরি জয়পাড়া থেকে সরবরাহ করে নূর-আবেদিন। বিকাশ, রকেট, ও ক্যাশ অন ডেলিভারিতে মূল্য প্রদান করা যায়।