স্বাধীনতা পদকের জন্য খুশি নির্মলেন্দু গুণ, প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা

350
স্বাধীনতা পদকের জন্য খুশি নির্মলেন্দু গুণ, প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশের পর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদকের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় খুশি কবি নির্মলেন্দু গুণ। নিজেকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সহপাঠী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কবি গুণ বলেন, আমার ফেসবুকে পোস্ট দেখে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি।
সোমবার একটি অনলাইন নিউজপোর্টালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গুণ বলেন, “এর আগে তো কেউ চায় নাই। সরকার দিত। আমি চেয়ে পদকের মূল্যটা বাড়িয়ে দিলাম। এটা প্রার্থিত পদক, নোবেল পুরস্কারের মতোই প্রার্থিত পদক। আমি চাই এটা সসম্মানে সচল থাকুক। আমাকে বাদ দিয়ে এটা সসম্মানে সচল থাকতে পারে না।”
এবারও ‘স্বাধীনতা পদক’ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন নির্মলেন্দু গুণ। দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পদকের মুলোটি আমার নাকের ডগায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু কিছুতেই সেটি আমাকে দিচ্ছেন না। উনার যোগ্য ব্যক্তির তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হতে হতে আকাশ ছুঁয়েছে। কিন্ত সেই তালিকায় আমার স্থান হচ্ছে না। আমার একদা সহপাঠিনী, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দৃষ্টে আমি প্রথম কিছুকাল অবাক হয়েছিলাম- কিন্তু আজকাল খুবই বিরক্ত বোধ করছি। অসম্মানিত বোধ করছি। ক্ষুব্ধ বোধ করছি। আমাকে উপেক্ষা করার বা কবি হিসেবে সামান্য ভাবার সাহস যার হয়, তাকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার ভিতরে অনেক আগে থেকেই ছিল, এখনও রয়েছে। পারলে ভুল সংশোধন করুন। অথবা পরে এক সময় আমাকে এই পদকটি দেয়া যাবে, এই ধারণা চিরতরে পরিত্যাগ করুন।”
কবির এই ফেসবুক পোস্টটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীরও দৃষ্টিগোচর হয়। পরে এবারের স্বাধীনতা পদকের তালিকায় নির্মলেন্দু গুণের নামও যুক্ত হয়। গতকাল রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন।
এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক তুলে দেবেন।

আপনার মতামত দিন