শোল্লায় প্রভাবখাটিয়ে স্ত্রীর নামে কোটি টাকার জমি বন্দোবস্ত

308

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিসমতের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে ভূমিহীন দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকার জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির প্রকৃত মালিককে আড়াল করে দখল নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে।

উপজেলার আওনা গ্রামের এম মহিউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান জমিটির প্রকৃত মালিক দাবী করে জানান, উপজেলার আওনা মৌজার সিএস খতিয়ান নং ৭১৭, সিএস ও এসএ দাগ নং ২৪০ এর ৩৫ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন জমিদার রাজা শ্রীনাথ রায়। ১৩৪০ বাংলা সনে জমিটির পত্তন নেন স্থানীয় শ্রী অধর চন্দ্র। তার নিকট থেকে মাহমুদুল হাসানের দাদা গোলাম রাব্বানী ভূইয়া ১৯৪৬ সালে ২৩৯৯ নং দলিল মূলে ক্রয় করেন। গোলাম রাব্বানী ভূইয়া ময়মনসিংহে বসবাস করার সময়ে এসএ ও আর এস জরিপে ভূলক্রমে ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত হয়ে যায়। ১৯৭৭ সনে তার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা মাহমুদুল হাসানের বাবা মহিউদ্দিন ভূইয়ার নিকট জমিটি বিক্রি করেন এবং ১৯৯৭ সালে স্বত্ব ঘোষণার প্রার্থনায় দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। দু’বছর পর তার পক্ষে রায় পান। ২০০৪ সালে মহিউদ্দিন ভূইয়া তার ছেলে মাহমুদুল হাসানকে জমিটি দান করেন। ২০০৮ সালে মোকদ্দমার রায়ের বিরেুদ্ধে ঢাকা জেলা প্রশাসক আপিল করেন ২০১০ সালে আপিল ডিসমিস হয়।

অন্য খবর  দোহারে শিশু ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করেন, ২ বছর মামলা চলাকালীন সময়ে মাঝামাঝি ৩০/০৯/২০০৯ সালে ততকালীন শোল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিসমত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের স্ত্রী ডলি রহমানের ডাক নাম অলিভিয়াকে ভূমিহীন দেখিয়ে ও নিজের পরিচয় গোপন করে ঐ জমি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত নেন।

এ বিষয়ে ২০১২ সালে ঢাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর বন্দোবস্ত বাতিলের আবেদনের পেক্ষিতে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর থেকে মিজানুর রহমান কিসমত জমিটি দখলের পরিকল্পনা করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এবিষয়ে তার আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর থেকে জমিটির উপর স্থিতিবস্থার আদেশ জারি করেছে আদালত। 

মাহমুদুল হাসান উল্লেখ করেন, মিজানুর রহমান ভূইয়ার স্থাবর-অস্থাবর সব মিলে তার প্রায় কোটি টাকার জমি রয়েছে। তাছাড়া শোল্লায় মমি মার্কেট, আওনার আবাদি জমি, ঢাকার ওয়ারীতে বিলাশবহুল ফ্ল্যাট, ঝিলমিল প্রকল্পে সরকারী প্লট রয়েছে তার নামে। কি করে তার স্ত্রী ভূমিহীন হলেন। তাছাড়া তার কোন ছেলে সন্তানও নেই।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান কিসমত বলেন, আমার স্ত্রীর নামে নিলেও জমিটি জনস্বার্থে স্থানীয় পোষ্ট অফিস, ক্লাব ও স্কুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার মতামত দিন