প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। এরপর শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে বলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহে ২দিন ছুটির বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রস্তাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এনসিটিবি কাজ করছে।’
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি কারিকুলামের খসড়া গত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারিকুলামের কাঠামোতে আমরা বলেছি সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকলে সমস্যা হবে না। নতুন এই কারিকুলাম চালু হবে ২০২২ সাল থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা যায়, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন থাকবে শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রস্তাবে বলা হয়, ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনও ক্ষতি হবে না। সাপ্তাহিক এই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনও সময় এই ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ, অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।