আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গোলাগুলি নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। যুদ্ধকে পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে এবং চলবে। তবে আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্টমার্টিন সীমান্তের উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে যদি বহির্শত্রু আক্রমণ করে সেটাকে আমরা প্রতিহত করব। আমরা সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছি। বর্ডার ভায়োলেসন হচ্ছে তার জন্য বর্ডারগার্ড, কোস্ট গার্ড আছে, তারা বিষয়টি তদারকি করছে। এর চেয়ে লেভেল অন্যদিকে গেলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির মধ্যে কয়েক মাস ধরে সংঘর্ষ চলছে। সীমান্ত এলাকায় ওই সংঘর্ষ চলাকালে ওপারে ছোড়া গুলি বাংলাদেশে চলাচলরত নৌযানে এসে লাগছে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরো সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ও আরও কয়েকটি ইউনিটকে। এতে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি) সতর্ক আছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়। ইতিমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতনরা বৈঠক করেছেন। আরও বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ঊর্ধ্বতনরা।