জমে উঠেছে ঢাকা-১ আসনের নির্বাচন। এই এলাকার মানুষ বদলে যাওয়া আধুনিক দোহার-নবাবগঞ্জ দেখার অপেক্ষায়। তারা চান ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে এই এলাকা। তৈরি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ থাকবে শান্তিতে-নিরাপদে, চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। গ্রামীণ জনপদের সড়কও হবে শহরের আদলে। এজন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা আস্থা রাখতে চান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের লাঙ্গল প্রতীকে। অতীতের মতো তিনি আগামী দিনেও সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবেন, এটাই বিশ্বাস ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটির জনগণের। বুধবার নির্বাচনি এলাকাটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সাধারণ মানুষ বলছেন, বিপদে-আপদে সব সময় তারা সালমা ইসলামকে পাশে পেয়েছেন। যে কোনো সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি হলেও জনগণের থেকে কখনো দূরে সরে যাননি। বরং পদ-পদবি তাকে মানুষের আরও কাছে এনেছে। সর্বস্তরের মানুষকে তিনি আপন করে নিয়েছেন। জনগণ যখনই চেয়েছে তাকে পেয়েছে।
রোববার সকালে কথা হয় নবাবগঞ্জের বক্সনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতা বেগমের (৫৬) সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সালমা ইসলাম আপা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী ভোট চাইতে আসেনি। আপা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কথা শুনেছেন, ভোট চেয়েছেন, সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন। আমার পরিবারে ছয়জন ভোটার। সুখে-দুঃখে সব সময় যেহেতু সালমা ইসলামকেই পাশে পাই, এবারও তার লাঙ্গল মার্কায়ই ভোট দেব।
বক্সনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. কাজল (৪৫) বলেন, ১৪ বছর আগে আমার স্বামী মারা যান। এরপর তিন মেয়েকে নিয়ে কঠিন সময় পার করছি। নির্বাচনের পরের কথা পরে, ভোটের আগেও সালমা ইসলাম ছাড়া কোনো প্রার্থী আমাদের বাড়ির কাছে আসেনি। এজন্য কে কী বলল তাতে ভয় পাই না। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। সালমা আপাকেই ভোট দেব। তিনি আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট করে দিয়েছেন। ঈদে সেমাই-চিনি দেন। শীতে কাপড় দেন। নির্বাচনের আগেও যেমন তাকে পাই, পরেও তেমন পাই। এলাকাটা পরিবর্তন করে দিয়েছেন তিনি।
দুপুরের দিকে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর রথখোলা কালী মন্দির এলাকায় কথা হয় হিন্দু জেলে সম্প্রদায়ের সঙ্গে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সত্তরোর্ধ্ব আনন্দ হালদার যুগান্তরকে বলেন, সালমা আপা তিনবার এমপি হয়েছেন। আমরা দুইবার তাকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়েছি। এবারও আমার পরিবারের ১২ জন ভোটারের সবাই লাঙ্গলেই ভোট দেব।