আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে মটরগাড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হায়দার আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে দোহার উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলার কইলাইল, দড়িকান্দাসহ বেশকিছু এলাকায় মটরগাড়ি প্রতীকের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে ।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা-১ আসনে পুলিশ প্রশাসন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছে। বিরোধী পক্ষের প্রচারণায় নানাভাবে বাধা সৃষ্টি এবং নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হায়দার আলীকে শুক্রবার গভীর রাতে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দোহার থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেনের দাবি, নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় বাধাসৃষ্টি ও সমর্থকদের মারধর করার মামলায় হায়দার আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার এসপি শাহ মিজান শাফিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমি শুনেছি-আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।
তবে মটরগাড়ি প্রতীকের পোস্টার কারা ছিড়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখব বলে জানান তিনি।
শাফিউর রহমান আরও বলেন, হায়দার আলীকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে মটরগাড়ি প্রতীকের কোনো কর্মী ও সমর্থককে যাতে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে নজর দেয়া হবে।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান এসপি।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি ঘটনাটা আপনার কাছে শুনলাম। আমি এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় দোহার থানার ওসির বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি ও অতিউৎসাহের অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিআইজি বলেন, এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নেয়া হবে। মাঠ পর্যায় থেকে যদি অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে স্থানীয় সাধারণ ভোটাররা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, ঢাকা-১ আসনে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মুখে তারা নিরপেক্ষতার কথা বললেও বাস্তবে কাজ করছে উল্টো।
বিশেষ করে দোহার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন নির্লজ্জভাবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ভোটাররা আরও জানান, এখানে মটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের বিপুল জনসমর্থন থাকায় তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছেন।
আর এ কারণেই পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে একটি পক্ষ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্টসহ সক্রিয় কর্মীদের নানাভাবে নাজেহাল করছেন। তারা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।