সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের চলছে কর্মবিরতি

16

১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে গত রাত থেকে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদানসহ ১০ দফা দাবির আদায়ে এ কর্মসূচি দিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার রাত ১২টা থেকে মোংলা বন্দরসহ সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় (ঢাকা) সভাপতি মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন , মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি করে আসছেন শ্রমিকরা। শুক্রবার ঢাকায় মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তত মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ সেটি মেনে নেন নি। তারা এক মাসের সময় চেয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে এক মাসের সময় দিতে শ্রমিকরা একমত হতে পারে নি । ফলে শনিবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহসভাপতি মো. মাইনুল হোসেন মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে গত ১৯ নভেম্বর মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে সরকার এবং মালিকপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা শনিবার দিবাগত রাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু হয়।

অন্য খবর  বাংলাদেশ এখন ১০০ টিরও বেশি দেশে সোয়া ৪লক্ষ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে - সালমান এফ রহমান

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, নৌযান শ্রমিকরা সবচাইতে কম বেতনে চাকরি করেন। এই বেতনে ডাল ভাত খেয়েও চলা যায় না। শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল বিভাগের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম জানান, সরকার এবং মালিকপক্ষ বারবার নৌযান শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও বেতন বাড়েনি। এ কারণে এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন।

আপনার মতামত দিন