সাগরে নৌকাডুবে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা

32

বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা সাগরে কয়েক সপ্তাহ ভেসে থাকার পর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা ছিল। তারা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর রয়টার্সকে এই খবর জানিয়েছে। এই ঘটনা রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটি।

এ ঘটনায় অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি সম্ভবত পথ হারিয়েছিল। ফলে আত্মীয়স্বজনদের সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে যে সাগরে থাকা নৌকাটি ডুবে গেছে এবং সবাই মারা গেছে।

তবে নৌকাটি কোথায় যাচ্ছিল, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি সংস্থাটি।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি সমুদ্র সৈকতে কয়েক সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর ৫৮ জন ক্ষুধার্ত ও দুর্বল রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ আচেহের একটি সমুদ্র সৈকতে তাদের পাওয়া যায়।

দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান রোলি ইউইজা অ্যাওয়ে বলেন, ৫৮ জনের দল রোববার ভোরে আচেহ বেসার জেলার মাছ ধরার গ্রাম লাদং-এর ইন্দ্রপাত্র সৈকতে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা জাতিগত রোহিঙ্গাদের দলটিকে একটি কাঠের নৌকায় দেখে তাদের অবতরণ করতে সাহায্য করে এবং তারপর কর্তৃপক্ষকে তাদের আগমনের কথা জানায়।

অন্য খবর  শীতার্তদের সহায়তা সওয়াবের কাজ

ইউইজা অ্যাওয়ে আরো বলেন, ‘তাদের ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে খুব দুর্বল দেখায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সমুদ্রে দীর্ঘ ও তীব্র সমুদ্রযাত্রার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আচেহতে অভিবাসন ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার সময় রোহিঙ্গাদের গ্রামবাসী ও অন্যরা খাবার ও পানি দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অন্যরা বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আন্দামান সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে বেড়ানো একটি ছোট নৌকায় থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে বিশ্বাস করা ১৯০ জনকে উদ্ধার করার জন্য শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য গ্রুপগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অনুরোধ করে।

আপনার মতামত দিন