সরকার যা করার করেছে,বাকী কাজ জনগণকেই করতে হবে: নাজমুল হুদা 

464
নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট

করোনা প্রতিরোধে সরকার যা করেছে তা আমাদের মত সীমিত সম্পদের দেশে প্রশংনীয় কিন্তু তার পরেও কিছু মানুষ ও মিডিয়া সরকারী পদক্ষেপর সমালোচনা করে যাচ্ছে অবিবেচকভাবে। দেশে করোনা সনাক্ত হওয়ার পরপরই সরকার করোনা বিস্তার রোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় করোনা বিস্তার অনেকটা রোধ করা গেছে।

মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক পরতে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে, সরকারী বেসরকারী সকল প্রচার ও সম্প্রচার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ যদি সচেতন না হয় তবে, শুধু সরকারী শত চেষ্টাতেও কোন শুভ ফল হবেনা।

 

আমাদের দেশের মানুষ অসচেতন এটা বলা অন্যায় নয়। সরকার করোনা বিস্তার রোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় দেখা গেছে মানুষ দল বেধে বাড়ীর পথ ধরেছে।সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে, ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনীহ দেখা যায়।মানুষ যদি করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও হাচি-কাশি শিষ্টাচার না মানে, তবে করোনার বিস্তার রোধ করা যাবে না।

 

সরকার করোনার চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।আমাদের দেশে করোনার চিকিৎসার জন্য ১৪ হাজার বেড আছে, যাতে রোগী আছেন মাত্র চার হাজার। দেশে ৪০০ ডেন্টিলেটর আছে।কাজে লাগে মাত্র ৫০টি।৩৫০০টি পড়ে থাকে।

অন্য খবর  কৃষক বাঁচাও-দেশ বাঁচাও এই স্লোগান নিয়ে কৃষকের পাশে দোহার উপজেলা কৃষকলীগ

 

শুরুতে একটি টেস্ট ল্যাব ছিল।দুই মাসে ৬৮টি টেষ্টিং ল্যাব করে প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

 

 

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সেবার জন্য হাসপাতাল তৈরী আছে। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাব আছে।মানুষ যদি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে, তাহলে দেশে সংক্রমণ অনেক কমে যাবে।

করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই কিছু কিছু এলাকায় লক-ডাইন করায় ভালো ফল পাওয়া যাওয়ায় সরকার আবার দেশকে রেড,ইয়োলো ও গ্রীন জোনে ভাগ করে লকডাউন চালু করেছে।এতে ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে।

 

সরকার পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার তৈরী করে প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে।দেশের সরকারী বেসরকারী সকল প্রচার ও সম্প্রচার মাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার পরেও জনগণ সচেতন নাহলে করোনার বিরুদ্ধে সকল যুদ্ধই বিফল হবে।

 

তাই এখন মুলকথা হলো সরকার যা করা দরকার করেছে কিন্তু এখন বাকী কাজ করতে হবে জনগণকেই। কারণ সচেতন জনগণই পারে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে প্রতিরোধ করতে।

আপনার মতামত দিন