চিকিৎসা মেলেনি কোথাও; মৃত সন্তান জন্ম দিয়ে মারা গেলেন নবাবগঞ্জের সুমি

621

চিকিৎসা মেলেনি কোথাও, কোনও হাসপাতালেই পাননি চিকিৎসা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত সন্তান জন্ম দিয়ে মারা গেলেন মা। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাপ গ্রামের সুমি আক্তার(২২) মারা গেছেন মৃত সন্তান জন্ম দিয়েই। ৫ জুলাই রবিবার সকালে মারা যান সুমি।

 

ঢাকার নবাবগঞ্জের সুমি আক্তার (২২) প্রসব ব্যথা নিয়ে ঘুরেও চিকিৎসা নিতে পারেননি। উপজেলার শোল্লা ইউপির পাতিলঝাপ এলাকায় তার বাবার বাড়ি। স্বামীর বাড়ি নয়নশ্রীতে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, হাসপাতালগুলোতে ভর্তি না নেয়ার কারণে সুমি ও তার সন্তানকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হল।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমি তেত্রিশ সপ্তাহ বয়সের মৃত বাচ্চা গর্ভে ধারণ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ডসহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যান। কিন্তু এ সব প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসাসেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও ভর্তি নেয় না। এর পর শনিবার সুমি ফিরে আসেন নবাবগঞ্জে।

 

এ সময় তার স্বজনদের ডাক্তার মোহাম্মদ হোসেন পরামর্শ দেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সুমিকে ভর্তি করানোর জন্য। ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. হাসান আলী ওটি সিস্টার মিসেস সন্ধ্যা ভক্ত অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বিকালে অপারেশন করেন। সুমি মৃত সন্তান প্রসব করেন। রাতে ডাক্তার প্রীতম দে এবং ডাক্তার হরগোবিন্দ সরকার রোগীর নিয়মিত খোঁজ নেন। কিন্তু তারপরও সুমিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

অন্য খবর  করোনা সংকটে স্কটিশ ফুড ব্যাংকে খাবার দিলেন জাকির মোড়ল ও শামীমা শিলা

 

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ বলেন, সুমির গর্ভ থেকে মৃত বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সুমিকে বাঁচিয়ে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু গত ৪-৫ দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ঘোরাফেরা করার কারণে সুমির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

আপনার মতামত দিন