ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শংকরদিয়া,জয়কৃষ্ণপুর,তিতপালদিয়া,ঘোষাইল,রাজাপুর,বালেঙ্গা ও আর ঘোষাইল যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ৮-৯ টি গ্রামের প্রায় ১০-১৫ হাজার লোক চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করছে। শুধু তাই নয়,একই সাথে দুর্ভোগের শিকার আশপাশের ২টি প্রাথমিক,২টি মাধ্যমিক ও ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা শত আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। একের পর এক চেয়ারম্যান ও সরকার বদল হলেও এ রাস্তাটি কারও নজড়ে পড়েনি যার কারনে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের।উপজেলা সদও থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলে এই ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয়নি বলে জানিয়ে স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মাঝে এসব গর্তে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে তাকতে দেখা যায়। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটির কিছু অংশ ইট দ্বারা সম্প্রসারণ করা হলে বাকি রাস্তা রয়েছে মাটির সম্প্রসারণ। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার মাঝখানে পানি জমে ব্যাহত হয় চলাচল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.শুভ হোসেন জানান,শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে পিচ্ছিলতা এভাবে চলে আমাদের যাওয়া।তার ওপর রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য। রাস্তাটি প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও কারও নজড়ে পড়েনি। যার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার কলেজ,স্কুল ও মাদারাসাগামী শিক্ষার্থীরা।
কলেজ শিক্ষার্থী তানিয়া ইসলাম তমা জানায়,রাস্তাটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা সম্ভব হলেও বৃষ্টির দিনে কিছুতেই চলাচল করা যায় না। অতিদ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানায়। এছাড়া এ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার ফলে দুর্ভোগের শিকার এই এলাকার কৃষক, ব্যবসায়ী,আইনজীবি সহ নানা পেশার মানুষ। পথচারী ও এলাকাবাসীর একটাই দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।