রেলিং ভাঙা, স্ল্যাবে গর্ত; সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

259
সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ডায়ের গজারিয়া গ্রামে খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই ছোট-বড় এলাকার হাজারো মানুষ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা-দোহার-শ্রীনগর সড়কের মুকসুদপুর পদ্মা কলেজ থেকে সড়কটি শুরু হয়ে আল-আমীন বাজার হয়ে নিকড়া এলাকার জয়পাড়া-গালিমপুর-টিকরপুর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৯৮৯ সালে ডায়ারকুমের খালের ওপর এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্রিজের দুই পাশের সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয় কিন্তু ব্রিজটি মেরামত করা হয়নি। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হলেও সেতুটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ডায়ারকুম গ্রামের রতন চোকদার বলেন, সেতুটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে। ইতোমধ্যে সেতুটির দুই পাশের রেলিংও ভেঙে গেছে। গতবছর সেতুর মাঝের অংশের পলেস্তারা খসে যাওয়া চলাচল বন্ধ ছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেরামত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে আবার সেতুর মাঝের কিছু অংশের পলেস্তারা ধসে পড়ে। পরে আমরা এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে দেই। তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট যানবাহন।

অন্য খবর  দোহারে সততা সংঘের সমাবেশ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পার্শ্ববর্তী বোয়ালী গ্রামের গৃহবধূ শিউলী আক্তার বলেন, কয়েক বছরে বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর সঙ্গে যুক্ত ডায়ারকুম খালের স্রোতে সড়কটির এ অংশের গাইড ওয়াল ভেঙে সড়কের একপাশ ভেঙে যায়। এখন সেতুটির অবস্থাও নাজুক। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।

ঐ এলাকার কৃষক মাসুদ রানা বলেন, সুতারপাড়া গ্রাম থেকে আমরা কয়েকজন কৃষক আরিয়াল বিলে ঘাস কাটতে আসি। এখান দিয়ে গেলে আল্লাহকে স্মরণ করি। ব্রিজটা ভেঙে গেলে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।

ঐ এলাকার আরেক ব্যক্তি চান মোল্লা (৫৫) বলেন, এই ব্রিজটা খুবই ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে। কয়েক বার ভেঙ্গেও গিয়েছে। পাশের রেলিংও ভেঙ্গে গিয়েছে। এই সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই আমরা চালাচল করি না জানি কোন সময় ভেঙ্গে পরে যায় সেই চিন্তায় থাকি যাওয়া সময়। এই ব্রিজটি দিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান যায়না এমন কোন দিন মনে হয় নাই। তবুও তিনি এটি মেরামত করতেছে না। এই ব্রিজটি পরিবর্তে অন্য একটা ব্রিজ করার কথা ছিল কিন্তু সেটও বন্ধ হয়ে আছে।

এবিষয়ে, মোঃ সুরুজ বেপারী(ভারপ্রাপ্ত) ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ব্রিজটি আগেও একবার ভেঙ্গেছে এলাকাবাসী ঠিক করেছে। গতকাল আমাকে এলাকার লোক বলেছে ব্রিজটার এক পাশ ভেঙ্গে গিয়েছে। আমি বলেছি আমি গিয়ে দেখবো তবে এখন শুনেছি সেটি না আবার তারা টিক করেছে। পাশের ব্রিজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, করেয়ে বার লোক এসেছে এসে মেপেও নিয়ে গিয়েছে কিন্তু কেন হচ্ছে না সেটা আমিও জানি না। তবে মনে হয় এটা একটা বড় পজেক্ট সে সময় দেরি হচ্ছে। তবে আমি কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলবো এ বিষয়ে তারপর দেখি করি করা যায়।

অন্য খবর  দোহারে শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর মুন্সীগঞ্জ রেঞ্জের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান  বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এ সড়ক ও সেতুর সমস্যা সমাধানে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

আপনার মতামত দিন