মেসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফজিলত

21
মেসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফজিলত

মেসওয়াক করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত এবং আগের যুগের নবী-রাসুলদের স্বাভাবিক নিয়ম।

মেসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফজিলত

কারণ দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করার অন্যতম উপায় হলো মেসওয়াক করা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, দিনে দুইবার ব্রাশ তথা মেসওয়াক করতে হয়। সকালে নাশতা করার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে।

সাধারণত মানুষ সকালে নাশতা শেষে প্রাত্যহিক কাজে বের হয় এবং মানুষের সঙ্গে মিশে থাকে। তাই তখন মুখের দুর্গন্ধের কারণে যেন কেউ কষ্ট না পায়। একইভাবে, সারা দিনের খাওয়াদাওয়া শেষ করে যখন মানুষ রাতে ঘুমাতে যায়, তখন যদি ব্রাশ না করে, তাতে দাঁতের ফাঁকে জমানো খাবার দাঁতকে নষ্ট করে দেয় এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই ঘুমানোর আগে ব্রাশ করতে হয়।

কিন্তু ইসলাম প্রতিটি নামাজের আগে মেসওয়াক করতে উৎসাহিত করেছে। কারণ নামাজ পড়ার সময় পাশের মুসল্লিরা যেন মুখের দুর্গন্ধে কষ্ট না পায়। এ বিষয়টিকে ইসলাম গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে অজু করার আগে মেসওয়াক করার প্রতি উৎসাহিত করেছে। তাই তো, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি আমার উম্মতের ওপর কষ্টসাধ্য না হতো, তবে আমি তাদের প্রতিটি নামাজের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’ (মুসলিম)

অন্য খবর  স্কুলে খুলে দেয়ায় যেন ঈদের আনন্দ

মেসওয়াক করার কারণে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। ফলে আল্লাহর ফেরেশতাগণ বান্দার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মেসওয়াক মুখের পবিত্রতা লাভের উপায় এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।’ (নাসায়ি)

নবিজি , ‘বাড়িতে প্রবেশ করেই তিনি প্রথম যে কাজ করতেন, তা হল দাঁতন বা মেসওয়াক করা।’ (মুসলিম)

 

আপনার মতামত দিন