দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামে গান্ধীজি অভয়াশ্রম ও শ্মশান ঘাটের পতিত জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ স্থানীয় ধর্মাবলম্বীদের।
উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের মালিকান্দা এলাকায় ১৯৪৬ সালে সাড়ে চার একর জায়গা নিয়ে গান্ধীজি অভয়াশ্রম নির্মাণ করা হয়। এরপর একই সময়ে তার পাশে উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের জন্য দুই একর জায়গাজুড়ে শ্মশানঘাট নির্মাণ করা হয়। নৌপথ সুবিধা থাকার কারণে পদ্মা নদী সংলগ্ন মালিকান্দা খালটি সে সময়ে স্থানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে আসছিল। কালের বিবর্তনে বর্তমানে স্থানটির চিত্র ভিন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দখলদারদের কারণে গান্ধীজি অভয়াশ্রমের সাড়ে চার একর জায়গা ৮০ ভাগই দখল হয়ে গেছে। শ্মশানঘাটের দুই একর জায়গা থেকে মাত্র ১০ শতাংশ বর্তমানে আছে।
মালিকান্দা খালটির সংযোগস্থলে প্রথমে সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জ বিভাগ সেতু না করে সড়ক হওয়ায় দখলদারদের খাল দখল করতে আর বেগ পেতে হয়নি। চলছে দখলের মহোৎসব! কেউ দোকান তুলছেন, কেউ বাড়ি নির্মাণ করছেন, কেউবা মসজিদ-মাদ্রাসা। আর এই দখলের কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোথাও কোথাও পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা-মাছি তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে অভয়াশ্রম ও শ্মশান ঘাট উন্নয়ন কমিটির সাধারণ-সম্পাদক সঞ্জিত কুমার ধর (সুন্দর) জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। প্রশাসনকে বার বার বলার পরও উদ্ধার হয়নি আমাদের শেষ আশ্রয়ের সম্পত্তি।
এ বিষয়ে নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন দরানী জানান, ’’স্থানীয়রা দখলের পর আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম. আল-আমীনকে জানানো হয়েছে। তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম. আল-আমিন জানান বিষয়টি তিনি দেখবেন’’।