দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় মাদার গাছ সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে অতি পরিচিত বৃক্ষ। একসময় দোহারের প্রতিটি এলাকায় এই গাছ দেখা গেলেও কালের বিবর্তনে দোহার-নবাবগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ গাছ।
প্রাকৃতিক নিয়মে কবে কোথায় এই গাছের জন্ম হয়েছে সে তথ্য সংগ্রহে নেই। তবে যতটুকু জানা যায় নানান প্রজাতির পাখি মাদার গাছের বীজ খেতে গিয়ে তাদের মুখ থেকে মাটিতে পরে আর সেই থেকে এই মাদার গাছের বংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং গাছের সৃষ্টি হয়েছে। এই গাছ দ্রত বর্ধনশীল ৬/৭ মাস পরপর এই গাছের ডালপালা কাটা যায় এক সময় দোহার ও নবাবগঞ্জের প্রতিটি বাড়ির ঘরের আঙ্গিনায় ও পুকুর পাড়ে অনেক মাদার গাছ দেখা যেত।
ক্ষেত্র বিশেষে অনেক পুরাতন বসত ভিটায় এই মাদার গাছের সীমানা খুঁটি এখনো দেখা যায়। মাদার গাছের বিভিন্ন জাত রয়েছে। যেমন তেলী মাদার, কাটা মাদার ও পাইন্ন্যা মাদার।
মাদার গাছ বিষাক্ত কাটায় ভরপুর। এমনকি পাতাতেও কাটা যুক্ত থাকে। এই কাটা পাশ কাটিয়ে কেউ এগুতে চাইলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড় লেগে যায়। তেলী মাদার গাছে তেমন কোন কাটা নেই, অন্যান্য সাধারণ গাছের মত। এই গাছে ফাল্গুন মাসে খুব সুন্দর ফুল ফোটে। কাটা মাদার ও তেলী মাদার দেখতে প্রায় একরকম। তফাৎ শুধু একটি গাছ কাটা যুক্ত।
পাইন্ন্যা মাদার গাছে একটু ভিন্নতা রয়েছে। এই গাছে পাতলা কাটা রয়েছে। বিগত ১৯৮৮ ও১৯৯৮ সালের বন্যা ও অব্যাহতভাবে এই গাছ নিধন হওয়ায় পুন আবাদ বা রোপণের ব্যবস্থা না থাকায় মাদার গাছ দোহার নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।