ঈদ উপলক্ষ্যে দোহার-নবাবগঞ্জে মাদক আসছে অবাধে

333

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দোহারে মাদকের মজুদ বাড়ছে। ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন, বিদেশী মদসহ প্রচুর পরিমানের মাদক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দোহারে এসে মুজুদ করা হচ্ছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দোহারে মাদকের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এই ধারণাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক আসছে দোহারে।

এইসব মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।  এই মাদক দ্রব্যগুলো দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মজুদ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দোহার নবাবগঞ্জে প্রচুর প্রবাসী থাকার কারনে মাদক দ্রব্য বিশেষ করে বিদেশী মদ ও ইয়াবার প্রচুর চাহিদা এই এলাকায় রয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে দোহার-নবাবগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কেনাবেচা হলেও এর মূল বাজার হলো রাজধানী ঢাকা। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশের পর এসব মাদক ৬টি রুট দিয়ে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী দেশ থেকে ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইনসহ প্রায় ২৫ প্রকার মাদক বাংলাদেশে আসে। এর মধ্যে ইয়াবা, ম্যান্ডেলা মদ, ম্যান্ডেলা বিয়ার, হিরো হুইস্কি, গ্রান্ড রয়েল হুইস্কি, লন্ডন রাম, টাইগার রাম, ম্যান্ডেলা রাম, আন্দামান গোল্ড বিয়ার, রয়েল ডিস্টিলারি, বস আপ, রেড হর্স ডিস্টিলারি, জিনস মদ, অরেঞ্জ মদ ও বাংলা মদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আর এই সব মাদকের একটা উল্ল্যেখ যোগ্য অংশ প্রবেশ করে দোহার-নবাবগঞ্জে।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে ঝড়ে বিপর্যস্থ বৈদ্যুতিক সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি

দোহারে বিদেশী মদ খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় ইতিমধ্য দোহারের মদ ব্যবসায়ীরা মদের অর্ডার রাখতে শুরু করেছেন। আর স্থানীয় বাংলামদের জন্য বিখ্যাত ধূলশুরা আর অরঙ্গাবাদতো আছেই। তাছাড়া বিদেশী মদের সাথে গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইনও মজুদ করছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। আর ফেনসেডিল ব্যবসায় অনেকটা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে দোহারের বাজারে। বিশেষ বিশেষ দোকানে বিশেষ বিশেষ কোড ওর্য়াড বললেই বিভিন্ন এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতলে পাওয়া যাচ্ছে ফেনসেডিল।

তথ্য মতে, ভারত ও মায়ানমার সীমান্তের ১৫৩টি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য ঢুকছে। সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক হাত ঘুরে এই মাদক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রাজধানীতে আসে। দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে ৬টি রুট দিয়ে রাজধানীতে মাদকদ্রব্য আনা হচ্ছে। ইয়াবা আসছে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে।

রোহিঙ্গারা টেকনাফের সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবার চালান কক্সবাজার নিয়ে আসে। এরপর সড়ক পথে তা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া দোহারে কাজ করতে আসা উত্তর বঙ্গ থেকে আসা শ্রমিকরাও নিয়ে আসছে প্রচুর পরিমানের গাঁজা।

এছাড়া ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল আসছে। ভারত থেকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে করে গাঁজা ও ফেনসিডিল বাংলাদেশে ঢুকছে। তারপর দোহার হয়ে সেগুলো যাচ্ছে ঢাকাতে।  হেরোইন আসছে যশোর সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী যানে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেনসিডিল আসছে পণ্যবাহী ট্রাকে, কুমিল্লা ও আখাউড়া সীমান্ত থেকে গাঁজা আসছে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী বাসে। রাজশাহী সীমান্ত থেকে বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও রেলপথে মাদকদ্রব্য আনা হচ্ছে ঢাকায়।

আপনার মতামত দিন