নবাবগঞ্জের গাজীখালী ঋষিপাড়া সড়কের বেহাল অবস্থা

342

ফারুক আহমেদ♦ নবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার গুলিস্তানের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। খানাখন্দ আর গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে যান চালাতে হয় চালকদের। যাত্রীরাও থাকেন দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে। যাত্রীবাহী বাস এ পথ পাড়ি দিতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। দীর্ঘ আট বছরেও এ সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে নতুন নতুন গর্ত সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকদের।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কটির কিছু অংশ তিন বছর আগে সংস্কার করা হয়। তবে নবাবগঞ্জ উপজেলার বক্সনগর থেকে খারশুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে রাস্তার এ অংশের বেশির ভাগ জায়গায় পিচ ও খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ধনপাড়া, পাঠানকান্দা, কোমরগঞ্জ বাজার, ঋষিপাড়া, গাজীখালী, জয়নগর, আগলা বাজার, আগলা পোস্টঅফিস থেকে খারশুর এলাকার আট কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ২০টি পয়েন্টে বেহাল অবস্থা।
এদিকে কেরানীগঞ্জ অংশের রুহিতপুর বাজার থেকে জিনজিরা বেলতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করে। খানাখন্দ আর গর্তে ভরা এসব রাস্তায় দীর্ঘ দিন সংস্কার কাজ হয়নি। প্রায় ১০-১২টি স্থানে গর্ত। অল্প বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
দিঘির পাড়ের বাসিন্দা রাজিব আহমেদ বলেন, বক্সনগর ঋষিপাড়া সংলগ্ন স্থানে রাস্তার কিছু অংশ ইছামতি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখান দিয়ে যান চলাচল করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। যেকোনো সময় যাত্রী নিয়ে গাড়ি নদীতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক অমলেশ সরকার বলেন, শুধু এ এলাকার জনসাধারণ নয়, পার্শ্ববর্তী দোহার উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ নবাবগঞ্জ দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। তা ছাড়া নবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি অফিসে গিয়ে চাকরি, ব্যবসার কাজে যাওয়া-আসা করেন এমন লোকও কম নয়। নিয়মিত যাত্রী নবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, রাস্তায় গর্তের কারণে চালককে ধীরগতিতে বাস চালাতে হয়। এতে রাতে চলাচলকারী যাত্রীদের ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হয়।
গাড়িচালক রমজান জানান, তিনি দীর্ঘ দিন যাবত এ রাস্তায় গাড়ি চালান। গর্তে পড়ে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে চাকা পাংচার হয়ে যায়। তাই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যায় না। ফলে এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। এতে যাত্রীদের গালিগালাজও শুনতে হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সীগঞ্জ রেঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল হোসেন জানান, এ রাস্তার জন্য টেন্ডার হয়েছিল। ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময় কাজ না করায় তার কার্যাদেশ বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।

আপনার মতামত দিন