একজন আলোকিত মানুষের পরশে অন্যরাও যে প্রভাবিত হয় সেটির উদাহরণ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। তার মমতা, ভালোবাসা ও প্রত্যক্ষ সহায়তায় এবার দোহারের বটিয়া গ্রামের খোদেজা বেগম নামে এক হতদরিদ্র নারী ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কাজ করে জীবন নির্বাহ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে শুধু জনপ্রতিনিধি পরিচয় দিলে তার অনন্য মানবিক গুণাবলী পেছনে পড়ে যায়। দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তর তার পথচলা। দরিদ্র-অসহায়-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার আজন্ম প্রয়াস। কারও কোনো সমস্যার কথা কানে এলে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন। সরকারি বরাদ্দের অপেক্ষা না করে বহু মানুষকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সহায়তা করে এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন। অজপাড়াগাঁয়ে অসহায়ের বাড়িতে হেঁটে গিয়ে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও আরাম-আয়েশকে উপেক্ষা করে দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সালমা ইসলাম এমপির জনবান্ধব বহু কর্মসূচি-পদক্ষেপ এরই মধ্যে মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গেছে। তার অকৃত্রিম ভালোবাসা-মমতায় বহু মানুষের জীবন বদলে গেছে। ওইসব ব্যক্তির একজন দোহারের বটিয়া গ্রামের স্বামীহারা খোদেজা বেগম।
জানা গেছে, খোদেজার স্বামী বহু আগে মারা গেছেন। বাড়িঘর কিছুই নেই। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতেন খোদেজা। সম্প্রতি ওই বাড়ির মালিক তাকে তাড়িয়ে দেন। মেয়েকে নিয়ে কোথায় উঠবেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন খোদেজা। একটু আশ্রয় খুঁজতে শরণাপন্ন হন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল আমিনের কাছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন দোহার-নবাবগঞ্জের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। এ দু’জনের সম্মতি পেয়ে ইউএনও ৮ শতাংশ সরকারি জমি গৃহহীন খোদেজার নামে বরাদ্দ দেন। জেলা প্রশাসক ওই জমিতে ঘর তুলতে টিন কিনে দেন। সালমা ইসলাম এমপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যানও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। দোহার প্রেস ক্লাবের সংবাদ কর্মীরাও কিছু আর্থিক সহায়তা করেন। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় দোহার পল্লী বিদ্যুৎ।
গত ১ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় দোহারের বটিয়া গ্রামে খোদেজার বাড়িতে হঠাৎ গিয়ে হাজির হন সালমা ইসলাম এমপি। একজন হতদরিদ্রের গৃহে এমপির আসার খবরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ মানুষজন সেখানে ভিড় করেন। এসময় সালমা ইসলাম এমপি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে খোদেজাকে সহায়তা করেন। এসময় সালমা ইসলামকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন খোদেজা। তার জন্য প্রাণ ভরে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন। খোদেজা বেগমকে উদ্দেশ করে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম এমপি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে হাতের কাজ শিখে সংসার চালাতে হবে।