ইমাদ শেখ, নিউজ৩৯.নেট ♦ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের সেতু দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, দেখার কেউ নেই। সেতুর দুপাশের রেলিং ভেঙে পড়ে গেছে সেই কবেই।
২০০২ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণের ১০ বছরেই সেতুর হাল বেহালে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ সেতুটি দিয়ে এই অঞ্চলের ৫-৬ হাজার লোক অনেকটা ঝুঁকির মধ্যদিয়ে চলাচল করে আসছে।
দীর্ঘ সময়ে সারা দেশের রাস্তাঘাট, সেতুর ব্যাপক উন্নতি হলেও এই সেতুটির দিকে কারও নজর নেই। বছরের পর বছর পার হলেও নেই কোন সংস্কার করা হয় নি। প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে এলাকাবাসী। এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন রিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মটরসাইকেল চলাচল করলেও বড়ধরনের কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এই সেতুটি দিয়ে স্কুল, কলেজ, হাট,বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে মারুফ নামের ৪ বছরের এক শিশু সেতু থেকে পড়ে আহত হয়। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে এখানে তবু সেতু মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া জানায়, “আমাগো কষ্ট কেউ দ্যাহে না। ভোটের সময় মেম্বর চেয়ারম্যানরা কয় এইবার আমি পাস করলে আপনাগো বিরিজ (ব্রিজ) ঠিক কইরা দিমু কিন্তু ভোট গেলে তাগো কোন খবর থাহেনা”।