ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন সালমা ইসলাম

351

নিউজ৩৯♦ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন সালমা ইসলাম। বুধবার দিনভর তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তিনি তাদের খোঁজখবর নেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

ঢাকা-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বুধবার সকাল ৯টায় সালমা ইসলাম চুড়াইন এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। তিনি সেখানে পৌঁছলে নারী-পুরুষরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে যান গালিমপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুলে শিক্ষার মান সম্পর্কে তিনি আলোচনা করেন শিক্ষকদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি এলাকায় উন্নত এবং শিক্ষার জন্য যা যা করণীয় তাই করব। সে সুযোগ যেন এলাকাবাসী তাকে দেন।

বেলা ১১টা ৫ মিনিটে  কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদ এলাকায় গণসংযোগ করতে যান তিনি। তার আসার খবর পেয়ে শত শত নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়। তাকে করতালি দিয়ে সংবর্ধনা জানান আবালবৃদ্ধাবনিতা। আফিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধাকে সালমা ইসলাম বুকে জড়িয়ে ধরে তার শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজখবর নেন। বলেন, সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি ও আগামীতেও থাকব। ওই বৃদ্ধাও তাকে আশীর্বাদ করে বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। নির্বাচনে জয়ী হবেন ইনশাল্লাহ।
ভোটারদের উদ্দেশে সালমা ইসলাম বলেন, যতদিন বাঁচব নবাবগঞ্জ ও দোহারবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই। এলাকাবাসীর জন্য কিছু করতে চাই। এ সময় নাছিমা নামে এক  গৃহবধূ সালমা ইসলামকে বলেন, ‘আপা আমাদের এলাকার রাস্তাটা প্রশস্ত করার ব্যবস্থা করে দেবেন। আমরা আপনাকেই ভোট দেব।’ তিনিও ওই রাস্তা করে দেয়ার প্রতিশ্র“তি দেন। তার প্রতিশ্র“তি পেয়ে উপস্থিত সবাই বিপুল করতালির মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সালমা ইসলাম বড়রাজপাড়া, বান্দুরা, বারুয়াখালী, নয়নশ্রী ও বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। সন্ধ্যায় কলাকোপা ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামে যান সালমা ইসলাম। সেখানে শত শত নারী-পুরুষ উপস্থিত হন। প্রায় ৭০ বছর বয়সী জয়তুন নেছা সালমা ইসলামকে জড়িয়ে ধরে বলেন, জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি। একবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনো মহিলা প্রার্থী পাননি। এবার তিনি মহিলা প্রার্থী পেয়ে আনন্দিত এবং সালমা ইসলামকে ভোট দিতে চান। আফজাল হোসেন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আগের এমপি আমাদের কোনো উপকার করেনি। রাস্তাও করেনি। সে মানুষের সঙ্গে মেশে না। তাকে এলাকায় কেউ ভালো বলে না। সে নিজে অনেক টাকা কামিয়েছে। মানুষের জন্য কিছু করেনি, যা কিছু করেছে সব নিজের জন্য। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, মানুষের উপকারের জন্যই আমি রাজনীতি করতে এসেছি। এলাকার উন্নয়ন ও মানুষকে সহযোগিতা করাই আমার মূল লক্ষ্য।

আপনার মতামত দিন