বৈধ কমান্ডার: রজ্জব আলী মোল্লা

এক প্রতিবাদলিপিতে দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার রজ্জব আলী বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে দোহারের সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকায় ১ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব আলী কমান্ডার। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে দোহার থানায় আমিই একমাত্র বৈধ যুদ্ধকালিন কমান্ডার ছিলাম। সাইদুর রহমান আমার অধিনস্ত একটি গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন। এই অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।নিয়মিত যে গার্ড অব অনার হতো, সে সম্মানও আমিই নিতাম। সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা আমার নামে অর্থ বানিজ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কাউকে টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানাই নি, কেউ যদি তা প্রমান করতে পারে তাহলে আমি তা মাথা পেতে নিব।

বরংচ মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থের কারচুপি করিয়াছে বোরহান গং এবং সোরহাব মুন্সি গং। উল্লেখ্য দোহার থানা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট করতে গিয়ে তারা ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং সোরহাব গং পালামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরের টিনসেট এবং ওয়ালে ৩ লক্ষ টাকার কাজ বেশি দেখিয়ে ৯ লক্ষ টাকা প্রকাশ করেছেন।

অন্য খবর  ৭ মার্চের ভাষণ দীর্ঘ ২৩ বছরের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এছাড়া তিনি আরো বলেন ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী ঢাকা পশ্চিম, মানিকগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এরিয়ার কমান্ডার ছিলেন। দোহার থানায় ৬ এপ্রিল ১৯৭১ সালে সিরাজ মিয়া, আব্দুর রঊফ মোল্লা, এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, রজ্জব আলী মোল্লা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাইদুর রহমান খোকা প্রথম এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং এই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন।

পরবর্তীতে বায়েজিদ, খন্দকার রুহুল আমিন, বাশার মৃধা, আনিস মাস্টার, আব্দুল হাই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এরপর দোহার থানাসহ বিভিন্ন মহাকুমার থানায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। নবাবগঞ্জের সাখাওয়াত হোসেন আঙ্গুর, বদিউজ্জামানের গ্রুপ আসার পর তাদের উপর কমান্ড ছাড়া হয়। দোহার থানার কমান্ড আমার উপর ছাড়া হয়। দোহার থানায় গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন ছাইদ, মজিবুর রহমান, বায়েজিদ মীর, রুহুল আমিন ও বাশার মৃধা। এইভাবে দোহার থানায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। এইভাবেই ২৯ নভেম্বর ১৯৭১ সালে দোহার থানা মুক্ত হয়।

ক্যাপ্টেন এটিএম আব্দুল হালিম চৌধুরী , এরিয়া কমান্ডার, ঢাকা পশ্চিম স্বাক্ষরিত সনদে লিখিত আছে,

This is to certify that Md. Rajab Ali S/O Abdul Haque Mollah vill. Narisha Khalpar P.S. Dohar Dist. Dacca of the People’s Republic of Bangladesh participated in Freedom fight/associate with/assisted the Freedom Fighter from 6-04-71 to 30-1-1972.

অন্য খবর  ঢাকা জেলা ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে দোহার থেকে ২৩ ছাত্রনেতার পদ লাভ

He was honest and sincere and was the thana commander of Dohar.

আপনার মতামত দিন