বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড ‘অ্যাপল’

387

 

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’। বর্তমানে অ্যাপলের ব্রান্ড মূল্য ১৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইন্টারব্রান্ড র‌্যাংকিংয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ‘অ্যাপল’ই বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রতিষ্ঠান।ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সাম্প্রতিক এক খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির ব্রান্ড মূল্য সাধারণত তিনটি উপাদান বা বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এই র‌্যাংকিং করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক সক্ষমতা, ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ব্র্যান্ডের ভূমিকা এবং প্রতিযোগিতায় ব্র্যান্ডের সক্ষমতা টিকিয়ে রাখা। এগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ড কীভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণে বা পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রাখে সে বিষয়টিরও ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইন্টারব্র্যান্ড র‌্যাংকিংয়ে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলো এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১৪টি ব্র্যান্ডের বাজার মূল্য ছয়শ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রবৃদ্ধির চিত্রইন্টারব্র্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন টেকনোলজির পরিচালক জনি ট্রিন বলেন, ‘এসব প্রযুক্তি ব্যান্ড আমাদের কাজের সংজ্ঞা, পথ ও জীবনযাপন পদ্ধতি বদলে দিয়েছে এবং এই পরিবর্তন অব্যাহত রয়েছে।’

শীর্ষ ব্র্যান্ডের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘গুগল’। যার বর্তমানে বাজার মূল্য ১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই গুগল ব্র্যান্ড র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করে। তখন গুগলের ব্র্যান্ড মূল্য ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার।

অন্য খবর  অনলাইনে পোশাক কেনার আগে যা করবেন

গুগলের প্রবৃদ্ধিএ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কোকো-কোলা। যার বর্তমান ব্র্যান্ড মূল্য ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও শীর্ষ ১০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে মাইক্রোসফট, টয়োটা এবং অ্যামাজন।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্র্যান্ডের আশ্চর্যজনক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যার মধ্যে ফেসবুকের ব্র্যান্ড মূল্য বেড়েছে ৫০ শতাংশ, অ্যামাজনের ব্র্যান্ড মূল্য তৃতীয় প্রান্তিকে ও লেগোর ব্রান্ড মূল্য প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে।

ইন্টারব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেজ ফ্রামটন বলেন, ‘ইন্টারব্র্যান্ড প্রধানত ব্যবসা, ব্র্যান্ড এবং প্রবৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্কের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। যার মধ্যে সংস্কৃতি, সক্ষমতা, পণ্যের ধরন এবং অভিজ্ঞতা প্রাধান্য পায়। তবে ভালো ব্রান্ডগুলো যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে এবং প্রকৃত ও দীর্ষস্থায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম।’

আপনার মতামত দিন