নবনির্বাচিত উপজেলা প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিলো বিএনপি নাকি বিএনএফ!

260

বিশেষ প্রতিবেদন শুক্রবার দোহারে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা দিলো বিএনপি না বিএনএফ এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার এক সহ-সভাপতি এই অনুষ্ঠান যারা করছেন তাদের ব্যাপারে বলেছেন, ওরা বেওয়ারিশ বিএনপি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য বিলি করা দাওয়াত কার্ড ও সংবর্ধনা গেটে লেখা রয়েছে আয়োজনে দোহার পৌরসভা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠন। সভাপতিত্ব করবেন দোহার পৌরসভার নাজমুল হুদা প্যানেলের সভাপতি রফিক ব্যাপারী। এবং নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সংবর্ধনা দিবেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা।
এখন প্রশ্ন উঠেছে নাজমুল হুদা বর্তমানে বিএনপিতে অবস্থান কি? তিনি স্বঘোষিত বিএনএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক। এছাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি হিসাবে পৌর মেয়র আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানই সবার কাছে পরিচিত। এজন্য উপজেলা নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সমঝোতার উদ্দেশ্যে ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা ও স্থানীয় বিএনপির মাঝে একটি বৈঠকে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল আব্দুর রহিমের বাসায়।

তবে কি দলীয় আনুগত্যের বাইরে ব্যক্তি আনুগত্য করেছে বিএনপির একাংশ।
এ ব্যাপারে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: রাসেল নিউজ৩৯কে বলেন, ওরা বেওয়ারিশ বিএনপি। তে পারবে না ওদের সভাপতি কে আর তার বৈধতা কি? এভাবে ওরা বিএনপিকে দ্বংস করছে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোবাইলসহ শিক্ষক আটক

এ ব্যপারে দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাসেমের সাথে নিউজ৩৯ এর পক্ষ থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দোহার পৌর বিএনপির দারন সম্পাদক(হুদা পন্থী) আব্দুল হালিম চেয়ারম্যান নিউজ৩৯কে বলেন, আমরা নাজমুল হুদাকে এখনও বিএনপির বলে চিনি। ওনার বিএনএফের কোন বৈধতা আমরা দেই না। উনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তাই উনার হাত দিয়েই এই সংবর্ধনা সুন্দর দেখায়।

এ ব্যাপারে নিউজ৩৯ এর পক্ষ থেকে দোহার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি রফিক ব্যাপারী(হুদা পন্থী) এর সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজ৩৯ এর সাথে যোগাযোগ করেন নি। তার পরিবার নিউজ৩৯ কে জানান তিনি বাড়িতে নেই।

এ ব্যাপারে নিউজ৩৯ আরো যোগাযোগ করে দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদের সাথে। তিনি পৌরসভা বিএনপির এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিউজ৩৯কে তিনি বলেন, যাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে তারা বিএনপির কোন নেতাকর্মী না। এদের রাজনৈতিক নেতা বিএনএফের চেয়ারম্যান। এরা বিএনপির নেতা হয় কি ভাবে। আর বর্তমানে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পৌরসভা মেয়র রহিম মিয়া। তিনি তো এরকম অনুষ্টানের আয়োজন করছে বলে আমরা জানি না। আর তারা নিজেদের বিএনপির সভাপতি বলে দাবি করে, অথচ কাগজপত্র দেখাতে পারে না। এটা কেমন কথা হলো। এই অনুষ্ঠানের সাথে বিএনপির কোন সম্প্রিক্ততা নেই।

আপনার মতামত দিন