কিছু আমল এমন আছে, যেগুলো করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না, অনেক জ্ঞানের অধিকারীও হতে হয় না। কিন্তু এগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এগুলো বান্দার আমলনামাকে ভারী করে। যেমন—রাসুল (সা.) বলেছেন, যে লোক (একবার) বলে সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়াবিহামদিহী, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ লাগানো হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬৪)
আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে তাকে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বিষয় বাধা দিতে পারে না। (তাবরানি, হাদিস : ৭৫৩২, সহিহুল জামে, হাদিস : ৬৪৬৪)
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়তে ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আল্লাহ এতই মহান যে তিনি তাঁর বান্দার মাত্র ১৫ সেকেন্ডের আমলের বিনিময়ে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নেন।
কিন্তু আমরা সবাই জানি যে যাদের অন্তরে শিরকের বিষ থাকবে মহান আল্লাহ তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবিদের এমন একটি দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন, যে আমলটি করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড প্রয়োজন হয়।
এ ছাড়া আরেকটি এমন আমল আছে, যার মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডে সব কবিরা গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়।
জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, যে লোক বলে, (আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি) ‘আল্লাহ তাআলার কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরজীবী, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তাওবা করি’, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৭)