প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘স্টার অব দ্যা ইস্ট’ যিনি বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশকে – দোহারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

119

মোঃ আল-আমিন, শরিফ হাসান, স্টাফ রিপোর্টার, news39.net:
দোহারে পদ্মা সরকারি কলেজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয় স্টার অব দ্যা ইস্ট। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তিনি বলেছিলেন তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিবেন; তিনি তার সেই ওয়াদা রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় মেগা প্রজেক্ট পরিচালিত হচ্ছে। আর এই মেগা প্রজেক্ট গুলোতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের সাথে সারা দেশে প্রায় ছয় লক্ষ বিদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

তিনিও আরও বলেন, রোহিংগা শরনার্থীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১৬ কোটি মানুষ খেতে পারলে, রোহিংগারাও খেতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি সারা বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর কোন দেশীয় প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এখন গ্লোবাল লিডার। তিনি সারা বিশ্বের একজন নন্দিত নেতা। তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা সেতু এর সাথে সংযুক্ত রেললাইন থেকে ঢাকা পর্যন্ত আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে।

অন্য খবর  ৭১ এর মত আরেকটি যুদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প দিয়েছিলেন তখন অনেকেই এটাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু আজ তা বাস্তবে পরিনত হচ্ছে। ২০২১ সালে আমরা বুঝতে পারি ডিজিটালাইজেশন ছাড়া আধুনিক যুগে আমাদের জীবনে বেঁচে থাকাটা প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেন, যখন আমরা পদ্মা সরকারি কলেজ কে পদ্মা কলেজ রূপে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম ১৯৯২ সালে। তখন এদেশের মানুষ ছিল অবহেলিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুবই খারাপ। একইসাথে জীবন মান ছিল অভাব পীড়িত। কিন্তু এদেশ থেকেই তো বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণীজন, রাজনীতিবিদ এবং মানুষের জন্ম হয়েছে।
আর বর্তমানে পদ্মা কলেজ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কর্মরত রয়েছে। তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতদঞ্চলে কলেজটি আলোকিত করে চলেছে। কলেজটি তার যোগ্যতা দিয়ে সামনে আরো এগিয়ে যাবে এবং একটি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলী কলেজের শিক্ষার্থীদের কেমন ভাবে তৈরি করবেন যেন ভবিষ্যতে এখান থেকেই দেশবরেণ্য নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর জন্ম হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সাংসদ সালমান ভাইও একজন প্রভাবশালী সাংসদ। তিনি পদ্মা কলেজ তথা দোহার নবাবগঞ্জ উন্নয়নে একজন ডায়নামিক লিডার।

অন্য খবর  দোহার নবাবগঞ্জ পাচ্ছে ২ মন্ত্রী!

পদ্ম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জালাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন গ্লোবাল লিডার। এখন তিনি কোন দেশীয় নেত্রী নন।এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবদান অনস্বীকার্য বলে অভিহিত করেন। একই সাথে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য নেক হায়াতের দোয়া করেন এবং কলেজের শিক্ষক মন্ডলী ও কর্মচারী পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। কলেজটিকে সরকারি করে ইতিহাসের পাতায় তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময়, কলেজের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল সম্বোধনা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আব্দুর রহমান পাখি, জাপান প্রবাসী অর্থ সংগ্রহ কমিটির প্রধান আব্দুর রহিম, ব্যাংকার্স আব্দুর রব মিয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় জনসাধারণ এবং নেতৃবৃন্দ প্রোগ্রাম শুরুর পূর্বে পদ্মা কলেজ মূল ফটকে আসাদুজ্জামান খান কামাল একটি ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন এবং সবার সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি আরেকটি ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন।

আপনার মতামত দিন